Shooting Story Good Bye Mountain

আচমকা চিতা বেরিয়ে এল, শুট বন্ধ! ‘গুডবাই মাউন্টেন’ তৈরির গল্প শোনালেন ইন্দ্রাশিস

বাংলোয় শুট। আশপাশে ঘন জঙ্গল। যখন তখন বাঘ বেরিয়ে পড়ত। আতঙ্কে থাকতেন ইন্দ্রাশিস, তাঁর টিম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ১৯:৩০
Share:

শুটিংয়ের গল্পে ইন্দ্রাশিস আচার্য। নিজস্ব চিত্র।

২৫ বছর আগের প্রেম হঠাৎই স্মৃতির আস্তরণ সরিয়ে সামনে। শিরশিরে অনুভূতি ছড়িয়ে যাবে মনে? এক রাশ অস্বস্তিতে ডুব দেবেন? না কি, বর্তমান ভুলে তার হাতে সঁপে দেবেন নিজেকে?

Advertisement

দর্শকদের খুব শিগগিরি এই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চলেছেন ইন্দ্রাশিস আচার্য। সৌজন্যে তাঁর আগামী ছবি ‘গুডবাই মাউন্টেন’। সদ্য ছবির পোস্টার প্রকাশ্যে এনেছেন। তার পরেই মুখোমুখি আনন্দবাজার অনলাইনের। তখনই কথায় কথায় এই প্রশ্ন জানতে চেয়েছেন তিনি। কারণ? এই প্রশ্নই তাঁর আগামী ছবির পটভূমিকায়। পরিচালকের দাবি, বাড়তি আকর্ষণ গা ছমছমে রহস্য। কার প্রেম ফিরবে? যার প্রেম ফিরবে, সে কি বিবাহিত? ২৫ বছর ধরে ভালবাসার খোঁজ করতে করতে যখন সন্ধান পাবে, সে তখন কী করবে? পরতে পরতে জট ছাড়াতে ছাড়াতে দর্শক এগিয়ে যাবেন উত্তরের দিকে। এমনটাই দাবি তাঁর।

ইন্দ্রাশিস যদি ২৫ বছরের পুরনো প্রেমের মুখোমুখি হতেন? কী করতেন?

Advertisement

প্রশ্ন রাখতেই তাঁর জবাব, ‘‘সত্যিই জানি না। জানি না বলেই ছবিতে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি। বরাবর সম্পর্কের গল্প বলতে চাই, শেষ ছবি ‘নীহারিকা’ও তার ব্যতিক্রম নয়।’’ এক পাহাড়ি জায়গায় সম্ভবত প্রাক্তন আর বর্তমান মুখোমুখি। তাই পুরো গল্প পাহাড়ঘেরা অঞ্চলে ক্যামেরাবন্দি? কিছুতেই রহস্য ভাঙবেন না, মৃদু হেসে জানিয়ে দিলেন পরিচালক। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, অনির্বাণ ভট্টাচার্য (সাংবাদিক), অনন্যা সেনগুপ্ত প্রমুখ। তার পরেই বললেন, ‘‘চিত্রনাট্যকে জীবন্ত করতে ২০ দিন আমরা কেরলের ওয়েনাড়ে করেছিলাম। পাহাড়ঘেরা ছোট্ট বাংলো। চারপাশে চাপ চাপ জঙ্গল। সেখান থেকে দিনেদুপুরে চিতা বাঘ, নীলগাই বেরিয়ে এসে রাস্তায় ঘোরে!’’ শুটিং করতে গিয়ে তাঁরা যথেষ্ট ভয়ে ভয়েই থাকতেন। কিন্তু, পরিবেশের গুণে সেই ভয় কিছু ক্ষণের মধ্যে ভুলেও যেতেন সবাই।

ঋতুপর্ণার সঙ্গে ইন্দ্রাশিসের মোট তিনটি কাজ। ‘গুডবাই মাউন্টেন’ জুটির দ্বিতীয় ছবি। ঋতুপর্ণাকে কখনও আলাদা করে সামলাতে হয়েছে?

প্রশ্নশেষের আগেই উত্তর হাজির। পরিচালকের দাবি, ‘‘নায়িকাকে নিয়ে অনেক কথা শুনেছেন। আমার অভিজ্ঞতা কিন্তু অন্য। ঋতু কোনও দিন কোনও সমস্যা করেনি। খাবার না পেলেও কোনও মাথাব্যথা নেই। মন দিয়ে কাজ করে যাবে। আর অদ্ভুত সহযোগিতার মনোভাব। নিজেই টেনে টেনে সকলকে শুটিংয়ে নিয়ে যেত।’’ শনিবার সবে ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ হয়েছে। এ বার ছবিটিকে আগের ছবিগুলোর মতোই কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠাবেন ইন্দ্রাশিস। তার পর নিজের শহর দেখবে তাঁর ‘গুডবাই মাউন্টেন’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement