(বাঁ দিকে), হৃতিক রোশন সাবা আজ়াদ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত তিন বছর ধরে গায়িকা, বাচিকশিল্পী ও অভিনেত্রী সাবা আজ়াদের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন অভিনেতা হৃতিক রোশন। খ্যাতনামী তারকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতেই রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন সাবা। যদিও সাবা নিজে নাটকের পরিবারের মেয়ে, সফদর হাসমির ভাইঝি। ছোটবেলায় অভিনয় করেছেন জন নাট্য মঞ্চে। তবু এই খ্যাতনামী তারকার প্রেমিকা হওয়ার পর থেকে যেন সর্ব ক্ষণ ছবিশিকারিদের নজরে সাবা। তা নিয়ে মাঝেমধ্যে বিরক্তি প্রকাশও করেছেন তিনি। এ বার শোনা যাচ্ছে, হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কটাই নাকি শেষ হয়ে গিয়েছে সাবার!
গত কয়েক দিনে যে ক’টি অনুষ্ঠানে হৃতিককে দেখা গিয়েছে, সর্বত্রই তিনি একা গিয়েছেন। অম্বানীদের বাড়ির বিয়ে হোক কিংবা ফারহা খানের মায়ের শেষযাত্রা— কোথাও দেখা যায়নি সাবাকে। কিন্তু গত দু’বছরে এমন হয়নি। কোনও অনুষ্ঠানের সাবাহীন হৃতিককে দেখা যায়নি। কর্ণ জোহরের জন্মদিনের পার্টি হোক কিংবা রোশনবাড়ির জমায়েত, সর্বত্রই একসঙ্গে দেখা যেত তাঁদের।
ফলে একাকী হৃতিককে দেখে জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে বলিউডে। নেটাপাড়ার একটি অংশের দাবি সাবা-হৃতিকের সম্পর্ক নাকি ভেঙে গিয়েছে। যদিও সমাজমাধ্যমে দেখা গিয়েছে, এখনও সাবার ছবিতে লাইক দিচ্ছেন অভিনেতা।
দিন কয়েক আগেই সাবা অভিযোগ করেন, হৃতিকের প্রেমিকা হওয়ায় কাজ পাচ্ছেন না তিনি। হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কে তৈরি হওয়ার আগে প্রায় এক দশক কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন সাবা। একাধিক বিজ্ঞাপনে কণ্ঠদান করেছেন। তবে হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পরই নাকি তাঁর হাতে কাজ কমে গিয়েছে। এর কারণ হিসেবে সাবা দায়ী করেছিলেন সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাকে। এক পরিচালক নাকি সাবাকে বলেছেন, নামী তারকার প্রেমিকা এখন তিনি, তাই তাঁর আর কাজের কী প্রয়োজন!
এই কথা শুনেই গর্জে উঠেছিলেন সাবা। সাবা প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, ‘‘আমরা কোন অন্ধকার যুগে বাস করছি? একজন নারী তাঁর উপার্জনের মাধ্যমে যে সম্মান অর্জন করে সেটাকে হেয় করা হচ্ছে? আমি স্পষ্ট বলছি, এখনও পর্যন্ত আমি নিজের টাকায় জীবন যাপন করছি। নিজের কেরিয়ারকে ভালবাসি। যে কাজটা করি সেটা পছন্দের। যদিও লোকে ভাবে আমরা সে সবের প্রয়োজন নেই। আসলে মানুষের চিন্তাভাবনা বদলাবে না।’’
বিচ্ছেদ-জল্পনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে সাবার কাজ না পাওয়াই কি কাল হল!