(বাঁ দিকে) রণবীর কপূর (ডান দিকে) আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় পাঁচ বছরের প্রেম। তার পর বিয়ে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে একে অপরের সঙ্গে সাতপাক ঘুরেছেন আলিয়া ভট্ট ও রণবীর কপূর। সেই বছরই নভেম্বরে দম্পতির কোলে এসেছে সন্তান। এখন মেয়ে রাহাকে নিয়ে সংসার রণবীর ও আলিয়ার। জনসমক্ষে নিজেদের প্রেমের ইস্তেহার দেওয়ার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে একে অপরকে নিয়ে সাবলীল ভাবে কথা বলেন আলিয়া ও রণবীর। কোনও প্রকার জড়তা ছাড়াই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন তুলে ধরেন অনুরাগীদের সামনে। তাঁকে বিয়ে করে নিজের ব্যক্তিত্বে বদলে এনেছেন আলিয়া, এমনকি নিজের গলার স্বর নিচু করেছেন। সেকথা মেনেও নিলেন রণবীর।
গত বছর এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানান, রণবীরের মানসিকতা নাকি একেবারেই সাধু-সন্তদের মতো। কখনও গলার আওয়াজ তুলে কথা বলেন না তিনি। আর আলিয়া রেগে গিয়ে চেঁচামেঁচি শুরু করলে নাকি তাতে বিরক্ত হন রণবীর। সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় আলিয়া বলেন, “কোনও কাজে কারও বিচ্যুতি দেখলেই আমার মাথা গরম হয়ে যায়। আর আমার গলার আওয়াজ বেড়ে গেলে রণবীর তা একদমই পছন্দ করে না।” আলিয়া কথাটা সরল ভাবে বললেও নেটাগরিকরা ভাল চোখে নেননি। তাঁরা রণবীরের খবরদারি করার স্বভাব নিয়ে নানা কথা বলতে থাকেন। অবশেষে রণবীর নিজেই স্বীকার করলেন তাঁর জন্য আলিয়ার নিজের ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন করেছেন।
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোয়ে রণবীর বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে বাবার উচ্চৈস্বর শুনে বড় হয়েছি, যেটা আমাকে অস্বস্তি দিত। আলিয়ার স্বভাবও ছিল জোরে কথা বলা। কিন্তু আমার অপছন্দের কথা জানতে পেরে ও নিজেকে বদলে ফেলেছে।” রণবীর এও স্বীকার করে নিয়েছে বিয়ে মানেই দু’জনেরই চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যের বদল। রণবীর বলেন, “দু’টি মানুষ তাঁরা দু’জনের সবক’টি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পছন্দ করবেন, এমনটা অসম্ভব। আলিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই বুঝেছিলাম ও ভাল মা, ভাল স্ত্রী, ভাল বৌমা হতে পারবে।”