Television Celebrity Marriage

পর্দার বরের বিয়ে, শ্বেতা-রুবেলের প্রীতিভোজের কার্ড পেতেই ঠাকুরনাম জপছেন পল্লবী!

নায়কের বিয়ে বলে কথা। পর্দার নায়িকার সাজ যে আলাদা মাত্রা পাবে, বলাই বাহুল্য। কোন সাজে ধরা দেবেন ‘নিমফুলের মধু’র পল্লবী?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৭
Share:

পল্লবী শর্মার আমন্ত্রণ রুবেল দাস-শ্বেতা ভট্টাচার্যের বিয়েতে। ছবি: সংগৃহীত।

হোক না পর্দা! তবু, দু’বছরেরও বেশি সময় তাঁদের ঘরকন্না। কত ওঠাপড়া, ঘটনার ঘনঘটা। সে সব পাশে রেখে বাস্তবে বিয়ের পিঁড়িতে ধারাবাহিক ‘নিমফুলের মধু’র নায়ক রুবেল দাস। একটু কি মনখারাপ? আগামীতে বিবাহিত নায়কের সঙ্গে প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে ভেবে? না কি খুশি নায়িকা পল্লবী শর্মা? আহ্লাদে আটখানা হয়ে নিমন্ত্রণরক্ষার সাজ নিয়ে ভাবছেন?

Advertisement

হিসেব অনুযায়ী, রবিবার সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন ছোট পর্দার ‘সৃজন’ ওরফে রুবেল। পাত্রী ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’র নায়িকা শ্বেতা ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার প্রীতিভোজ। উপরে বলা প্রশ্নগুলো আনন্দবাজার অনলাইনের তরফ থেকে আসতেই হেসে ফেলেছেন পল্লবী। এ দিন তিনি রুবেলের তরফ থেকে প্রীতিভোজের নিমন্ত্রণ কার্ড পেয়েছেন। ফোনের ও পারে গলায় খুশির ছোঁয়া। বললেন, “তৃতীয় রবিবার বিয়ে। ছুটি পাব কিনা জানি না। ছুটি পেলে ধারাবাহিকের সকলে এক সঙ্গে যাব। তখন সাজ আলাদা হবে। ছুটি না পেলে তার সাজ আলাদা।” তবে যে কোনও উদ্‌যাপনে নিজেকে শাড়িতে সাজাতে ভালবাসেন পল্লবী। সাবেকি সাজ তাঁর বেশি পছন্দ। রুবেলের বিয়েতে তেমনই সাজবেন। বিয়ের জন্য অবশেষে নায়ক ছুটিতে। তাঁকে তাই আনন্দবাজার অনলাইন মারফত আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর পর্দার নায়িকা।

শ্বেতা-রুবেলের বিয়ের কার্ড। ছবি: সংগৃহীত।

লম্বা প্রেমপর্বের পর বিয়ে। শুক্রবার দুই তরফের বিয়ের কার্ড প্রকাশ্যে। শ্বেতার বিয়ের কার্ড অনেকটাই গ্রিটিংস কার্ডের আদলে, হাতে আঁকা। যোগাযোগ করতেই হাসিতে লজ্জা মিশিয়ে বললেন, “আমাদের কিশোরীবেলায় এই ধরনের গ্রিটিংস কার্ডের খুব চল ছিল। সেই অনুভূতিই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি।” রুবেলের কার্ডে প্রীতিভোজের নিমন্ত্রণ। বিয়ের পরের অনুষ্ঠান। বাস্তবে বিয়ের আগেই ধারাবাহিক ‘যমুনা ঢাকি’তে শ্বেতা-রুবেলের বিয়ে পর্ব সারা। সেখানেই তোলা সিঁদুরদানের ছবি রুবেলের কার্ডে জায়গা করে নিয়েছে।

Advertisement

বিয়ের কার্ড কেমন লেগেছে পল্লবীর? তাঁর কথায়, “বিয়ের কার্ড দেখিনি। প্রীতিভোজের কার্ড হাতে পেয়েছি। বেশ অন্য রকম। আমার ভাল লেগেছে।” দাবি, “মনে হচ্ছে যেন বাড়ির ছেলের বিয়ে। আমরা রুবেলকে আইবুড়ো ভাত খাইয়েছি।” বিয়ের মেনু জানেন? খাওয়াদাওয়া নিয়ে ততটাই আগ্রহ নেই পল্লবীর। তিনি এখন ঠাকুরের নাম জপছেন, যাতে রবিবার ছুটি পান। জমিয়ে সাজতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement