(বাঁ দিকে) কার্লোস আলকারাজ়। নোভাক জোকোভিচ (ডান দিকে)। ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রথম বার পরীক্ষার মুখে পড়লেন কার্লোস আলকারাজ়। শুক্রবার চতুর্থ রাউন্ডে উঠতে একটি সেট খোয়াতে হল তাঁকে। শেষ পর্যন্ত নুনো বোর্জেসকে ৬-২, ৬-৪, ৬-৭, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন। তার পরে এক খুদে সমর্থককে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এলেন তিনি। মেলবোর্নে ট্রফি জিতলে নতুন ট্যাটু করার প্রতিশ্রুতিও দিলেন। এ দিকে, ম্যাচ চলাকালীন এক দর্শকের চিৎকারে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। তবে তাঁকে নিয়ে মদ্যপান করতে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
এ দিন ম্যাচের প্রথম দিকে ভাল ফর্মে দেখা গিয়েছিল আলকারাজ়কে। বিপক্ষকে প্রথম সেটে দু’বার এবং দ্বিতীয় সেটে এক বার ব্রেক করেন। প্রথম দুই সেট জিততে সমস্যাই হয়নি। কিন্তু তৃতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান বোর্জেস। পুরো সেট জুড়েই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর টাইব্রেকারে জেতেন বোর্জেস। তাতে অবশ্য চাপে পড়েননি স্পেনীয় খেলোয়াড়। চতুর্থ সেট জিতে ম্যাচ পকেটে পুরে নেন।
লকার রুম থেকে বেরিয়ে দেখতে পান খুদে সমর্থক জনকে। তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর পর সাংবাদিক বৈঠকে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। জন রাজি হওয়ায় তাঁকে সঙ্গে নেন আলকারাজ়। যাওয়ার পথে দু’জনের কথাবার্তার ভিডিয়ো পোস্ট করেছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। সেখানে জনকে আলকারাজ় জিজ্ঞাসা করেছেন, খেলোয়াড়েরা ম্যাচের পর কী করেন সেটা সে জানে কি না। জন দু’দিকে মাথা নাড়ায়। তখন তাঁকে সাংবাদিক বৈঠকের কথা বলেন আলকারাজ়। জানান, ম্যাচে যা-ই হোক, সব খেলোয়াড়কেই সাংবাদিক বৈঠক করতে হয়। ঘরে ঢুকে সামনের সারির একটি কোণের চেয়ারে বসে পড়ে জন। গোটা সাংবাদিক বৈঠকটিই মন দিয়ে শুনেছে সে।
আলকারাজ় জানিয়েছেন, বাকি তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার পর হাতে বিশেষ ট্যাটু করিয়েছেন। মেলবোর্নে ট্রফি জিতলে তরুণতম খেলোয়াড় হিসাবে কেরিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম হবে। সেই সঙ্গে আরও একটি ট্যাটু করাবেন তিনি।
জোকোভিচ এ দিন চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছেন। তাঁর ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারি থেকে বার বার এক সমর্থক চিৎকার করছিলেন। সার্বিয়ার খেলোয়াড় দৃশ্যতই বিরক্ত হন। ম্যাচ শেষে কোর্টে দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ও ওই দর্শক চিৎকার করেন। এক সময় জোকোভিচ উত্তর দেন, “দুঃখিত বন্ধু, আমার স্ত্রী রয়েছে।” গোটা গ্যালারি হেসে ওঠে তাঁর কথায়।
জোকোভিচ এখানেই থামেননি। তিনি আরও বলেন, “আমরা একসঙ্গে মদ্যপান করতেই পারি। তবে আপনি মনে হয় ইতিমধ্যেই অনেকটা মদ্যপান করে ফেলেছেন।” শুধু তাই নয়, জোকোভিচ জানিয়েছেন তিনি মহিলা খেলোয়াড় ড্যানিয়েলে কলিন্সের সমর্থক। এ দিন যে ভাবে সমর্থকদের বিদ্রুপ সামলে ম্যাচ জিতেছেন কলিন্স, তার প্রশংসা করেছেন জোকোভিচ।