এক দিকে যেমন বড় অভিনেতা হতে বছরের পর বছর ধরে মরিয়া পরিশ্রম করে যান মানুষ। তেমন এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা শুরু থেকেই সাফল্য পেয়ে যান। অনেকেই আবার সাফল্য পেয়েও অভিনয় থেকে দূরে থেকে সাধারণ জীবন বেছে নেন।
এরিয়ানা রিচার্ড: ‘দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড: জুরাসিক পার্ক’ ছবিতে লেক্স মারফির ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তারও আগে ১৯৮৭ সালে ‘ইন টু দ্য হোমল্যান্ড’ ছবিতে প্রথম দেখা যায় তাঁকে। শিশুশিল্পী হিসাবে অভিনয় জীবনে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করলেও বড় হয়ে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেন। ফাইন আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করে একজন শিল্পী হয়ে ওঠেন।
৪১ বছরের রিচার্ড এখন নিজের শিল্পকলা এবং সংসার নিয়েই ব্যস্ত। ২০১৩ সালে মার্ক বল্টন নামে এক আইরিশ সেনাকে বিয়ে করেন। ২০১৫ সালে তাঁদের একটি মেয়ে হয়।
ফোবে বেল্লে কেটস: ৫৭ বছরের ইনি নিউ ইয়র্কের এক নামজাদা বুটিকের মালকিন। ২০০৫ সালে ‘ব্লু ট্রি’ নামে ওই বুটিক খুলেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারের বেশির ভাগই বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত। ১৯৮২ সালে ‘প্যারাডাইজ’ ছবিতে প্রথম দেখা যায় তাঁকে। তার আগে মডেলিং করতেন।
‘বেবি সিটার’, ‘প্রাইভেট স্কুল’, ‘ব্রাইট লাইটস’, ‘বিগ সিটি’-সহ একাধিক ছবি করেছেন। ২০০১ সালে তিনি শেষ বারের মতো পর্দায় এসেছিলেন। এর চার বছর পর নিজের ব্যবসা শুরু করেন।
ড্যানি লয়েড: ১৯৮০ সালের ‘দ্য শাইনিং’ ছবির ছোট্ট ছেলেটি আজ ৪৮ বছরের পুরুষ। প্রথম ছবিতে অভিনয় করেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও হাতে গোনা কয়েক বার পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০০৪ সালে তিনি কেন্টাকির এলিজাবেথটাউন কমিউনিটি অ্যান্ড টেকনিক্যাল কলেজের বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন।
মারা উইলসন: ১৯৯৬-এর ‘মাটিল্ডা’ ছবির জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। তার পর ২০০০ সালে একটি ছবি করেছিলেন। তার পর লেখালেখি করতে শুরু করেন। তার পরও অবশ্য টুকটাক অভিনয় চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে বড়পর্দায় আর ফেরেননি।
এরিক এসট্রাডা: পুরো নাম হেনরি এরিক এসট্রাডা। ১৯৭৭-এর ‘চিপস’-এ হাইওয়ে পেট্রলিং পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে বাস্তব জীবনেও এরিক একজন পুলিশ হিসাবেই কাজে যোগ দেন। এখন তাঁর বয়স ৭২ বছর।
নিকি ব্লনস্কি: ২০০৭-এর ‘হেয়ারস্প্রে’ ছবির ট্রেসি টাম্বল্যান্ড অত্যন্ত জনপ্রিয় চরিত্র। এই ছবির জন্য একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে অভিনয় নিয়ে তিনি এগিয়ে যাননি। বদলে জনপ্রিয়তা বিসর্জন দিয়ে তিনি পেশাদার মেকআপ শিল্পী হয়ে যান। নিউ ইয়র্কে একটি সেলুন চালান তিনি। নাম রেখেছেন ‘সুপারস্টার সেলুন’।
এরিক পার সুলিভান: ১৯৯৮-এর ‘আর্মাগেডন’ থেকে ২০১০-এর ‘টুএলভ’ পর্যন্ত একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসাবে একাধিক পুরস্কারও জিতেছিলেন। তা সত্ত্বেও সব কিছু থেকে ইস্তফা দিয়ে খুব সাধারণ জীবন কাটাতে শুরু করেন এরিক। পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তিনি।
মাইকেল স্কফলিং: ১৯৮৪-এর ছবি ‘সিক্সটিন ক্যান্ডেলস’-এর জ্যাক রায়ানের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালের ছবি ‘ওয়াইল্ড হার্ট কান্ট বি ব্রোকেন’-এর পর আর অভিনয় করেননি। স্ত্রীর সঙ্গে পেনসিলভেনিয়ায় থাকেন। সেখানে কাঠের দোকান রয়েছে তাঁর।
জেফ কোহেন: ১৯৮০ সালে শিশুশিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন জেফ। কিন্তু সাবালক হওয়ার সঙ্গে কেরিয়ার নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলেন। তিনি একজন আইনজীবী। ২০০২ সালে নিজের সংস্থাও খোলেন তিনি।
লুকাস বাবিন: প্রাক্তন মডেল এবং অভিনেতা লুকাসও নিজের পেশা বদলে আজ আইনজীবী। টেক্সাসের টাইলার কাউন্টির আইনজীবী তিনি।
পিটার অস্ট্রাম: ‘উইলি ওঙ্কা’ খ্যাত অভিনেতা পিটার এই ছবির শ্যুটিং করে বাড়ি ফিরে দেখেছিলেন তাঁর পরিবার একটি ঘোড়া কিনেছে। সেই ঘোড়ার দেখাশোনা পিটারই করতে শুরু করলেন। তার পর থেকেই প্রাণীদের উপর তাঁর একটা আলাদা ভাল লাগা তৈরি হয়। অভিনয় করতে করতেই ১৯৮৪ সালে পশু চিকিৎসকের ডিগ্রি অর্জন করেন এবং অভিনয় জীবন ছেড়ে এ দিকেই মন দেন।
চার্লি কর্সমো: কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি অব ল-এর এক জন অধ্যাপক তিনি। তাঁরও প্রথম উপার্জন অভিনয় থেকেই।