ফেলে আসা দিন ফিরে দেখেছিলেন বাপ্পি।
গত এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছিলেন। দিন কাটছিল হাসপাতালের ঘেরাটোপে। সঙ্গী অচেনা যন্ত্রপাতির অবিরত শব্দ আর নিশ্চুপ একাকিত্ব। এই অবস্থায় স্মৃতির পাতা ওল্টাচ্ছিলেন । সদ্যপ্রয়াত বাপ্পি লাহিড়ির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে চোখ রাখলে মনে হবে এমনটাই।
গত রবিবার অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি নিজের যৌবনকালের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ‘উ লালা’-র গায়ক। হাতাকাটা জ্যাকেট, চোখে সানগ্লাস, আর হাতে একাধিক অলঙ্কার— সেই চিরাচরিত সাজে লেন্সবন্দি মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছিলেন অনুরাগীদের সঙ্গে। লিখেছিলেন, ‘ফেলে আসা দিনগুলি সব সময়ই অমূল্য।’ জীবনের শেষ ধাপে সাদা-কালো ছবিতে অতীত হাতড়েছিলেন অসংখ্য ‘মঙ্গলদীপ’-এর স্রষ্টা।
নিজে ভুগেছেন দীর্ঘ দিন। বড় ধাক্কা হয়ে আসে লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যু। পেশাগত গণ্ডি ছাপিয়ে ব্যক্তিজীবনেও পরস্পরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন দুই শিল্পী। লতার মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি দিয়েছিলেন বাপ্পি। বর্ষীয়ান গায়িকার মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়েছিলেন। শোক প্রকাশের শব্দ হারিয়ে শুধু লিখেছিলেন, ‘মা!’ সাদা-কালো ছবিতে গায়িকার কোলে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল বালক বাপ্পিকে।
স্বজন –বিয়োগের শোক কাটল না। লতার মতোই অন্য সুরলোকে চলে গেলেন বাপ্পি।