(বাঁ দিকে) সানি দেওল। হেমা মালিনী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত সপ্তাহ খানেক ধরে বক্স অফিসে একের পর এক নজির গড়ছে সানি দেওল অভিনীত ছবি ‘গদর ২’। আর ছবির সেই বক্স অফিস সাফল্যেই আরও কাছাকাছি এসেছে গোটা দেওল পরিবার। প্রায় চার দশকের দূরত্ব ভুলে কাছাকাছি এসেছেন দেওল পরিবারের চার ভাইবোন। ‘গদর ২’ মুক্তির দিন ‘ভাইয়া’ সানি দেওলকে ছবির জন্য শুভকামনা জানিয়েছিলেন এষা দেওল। ছবির সাফল্য উদ্যাপন করতে ছবির বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজনও করেছিলেন এষা। সেই ‘স্পেশাল স্ক্রিনিং’-এ উপস্থিত ছিলেন ববি দেওল ও অহনা দেওলও। তবে সেই দিন দেখা যায়নি এষা ও অহনার মা হেমা মালিনীকে। এর প্রায় এক সপ্তাহ পরে প্রেক্ষাগৃহে ‘গদর ২’ দেখলেন বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’। ছবি দেখে বেরিয়ে কী বললেন হেমা?
মুক্তির আট দিনের মাথায় বক্স অফিসে ৩০০ কোটির গণ্ডি পেরিয়েছে অনিল শর্মা পরিচালিত ছবি ‘গদর ২’। এখনও রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য সানি দেওল ও অমিশা পটেলের ছবি। সম্প্রতি ‘গদর ২’ দেখে উচ্ছ্বসিত সানির সৎমা ও ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী হেমাও। ছবি দেখে প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে হেমা জানান, সানির ছবি তাঁকে সত্তর ও আশির দশকের নস্টালজিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। হেমার মতে, ‘‘আমার ‘গদর ২’ খুব ভাল লেগেছে। ছবি নিয়ে যা প্রত্যাশা ছিল, সব পূরণ হয়েছে। সত্তর এবং আশির দশককে পরিচালক অনিল শর্মা পর্দায় খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।’’ আর সানি? তাঁর অভিনয় কেমন লেগেছে হেমার? ড্রিম গার্লের কথায়, ‘‘সানি তো খুবই ভাল। অনিল শর্মার ছেলে উৎকর্ষও খুব ভাল কাজ করেছে। ছবি দেখার পরে দেশপ্রেম যেন আরও ভাল ভাবে অনুভব করতে পারছি। মুসলিম ভাইদের সঙ্গে আমাদের ভ্রাতৃত্বের বিষয়টাও খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’’ সানির ছবি দেখে যে আপ্লুত হেমা, তা স্পষ্ট বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথাতেই।
দেওল পরিবারের দুই পক্ষের সমীকরণ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি বলিপাড়ায়। ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হেমা মালিনীর মনোমালিন্য কারও অজানা নয়। তার প্রভাব পড়েছে দুই পক্ষের সন্তানদের সম্পর্কেও। ভাইবোন হলেও গত চার দশক ধরে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব রেখেছেন সানি ও ববি এবং এষা ও অহনা। তবে ‘গদর ২’-এর সাফল্যই নাকি ঘুচিয়ে দিয়েছে সেই দূরত্ব। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে ভাই ববি দেওলকে নিয়ে এষা ও অহনার বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছেন তাঁর। খবর, সঙ্গী হতে পারেন বলিউড অভিনেতা অভয় দেওলও।