বলিউডি তকমায় ক্ষুব্ধ হেলেন।
‘মেহবুবা মেহবুবা...’
‘শোলে’-র সেই বিখ্যাত গানটা মনে পড়ে? সুরের মাদকতায় ক্ষিপ্র গতিতে দুলছে কোমর। সংক্ষিপ্ত পোশাকে, লাস্যে তীব্র থেকে তীব্রতর দর্শকের উত্তেজনা! কালজয়ী গানে আসমুদ্র হিমাচলকে বুঁদ করে রেখেছিলেন তিনি। বলিউডের ‘ভ্যাম্প’। হেলেন। তিন দশকের কেরিয়ারে যাঁর অভিনয়ের চেয়ে উত্তেজক নাচেই মোহিত ছিলেন হিন্দি ছবির সিংহভাগ দর্শক। সেই হেলেনই চটে লাল ‘আইটেম গার্ল’ তকমায়!
ইদানীং বহু বলিউডি ছবিই ভরসা রাখে ‘আইটেম’ গানে। চটুল সুর-কথা, জনপ্রিয় তারকা এবং তাঁর খোলামেলা পোশাক-লাস্যে যৌন আবেদনের ছড়াছড়ি। ছবির বাজেটে বরাদ্দ বড়সড় অঙ্ক। বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মূল ছবির চেয়ে প্রচারের আলো অনেক বেশি টেনে নিয়েছে ‘চিকনি চামেলি’, ‘শীলা কি জওয়ানি’র মতো এই সব ‘আইটেম সং’। যার হাত ধরে সেই নাচের অভিনেত্রীরাও পেয়ে গিয়েছেন ‘আইটেম গার্ল’-এর তকমা!
আর সেই তকমাতেই প্রবল আপত্তি বলিউডে এই ধরনের নাচের প্রায় পথপ্রদর্শক হেলেনের। সম্প্রতি এক নাচের রিয়্যালিটি শোয়ে ‘আইটেম’ কথাটির প্রয়োগ নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
হেলেনের কথায়, ‘‘আমাদের সময়ে বলিউডে প্রচুর পৌরাণিক ছবি হত। যাতে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে গুঁজে দেওয়া কিছু গানকে বলা হত ‘সোলো সং’। পরের দিকে ছবিতে যখন আধুনিক নাইটক্লাবে গানের দৃশ্য রাখা শুরু হল, বদলে গেল তার তকমাও। এই ‘আইটেম’ কথাটা আমার ভীষণ অপছন্দের। চটুল গানে নাচেন মানেই কোনও অভিনেত্রী আইটেম হতে যাবেন কেন? তিনি তো পেশাদার শিল্পী। পণ্য হিসেবে দেখা হবে কেন? গানকেই বা কেন ‘আইটেম’-এর তকমা দেওয়া হবে?’’
বলিউডে ৭০০-রও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন হেলেন। পঞ্চাশের দশকে ছবিতে নর্তকী হিসেবেই যাত্রা শুরু। ১৯৫৮ সালে ‘হাওড়া ব্রিজ’ ছবিতে ‘মেরা নাম চিন চিন চু’ গানে নেচে প্রথম দর্শকের নজর কাড়েন হেলেন। সেই শুরু। পরবর্তীতে ইতিহাস গড়ে ফেলে তাঁর ‘মেহবুবা মেহবুবা’।