দেখার চোখ বদলে দিতে চান সোনাক্ষী
অভিনয়ের জগতে চেহারা ঠিক রাখা নিয়ে সকলেই সচেতন। বাড়তি মেদ ঝরাতে প্লাস্টিক সার্জারিরও দ্বারস্থ হন তারকারা। তাতে প্রাণ সংশয় হয় হোক, কিন্তু আগে রূপ। কিন্তু বলিউডে এত দিন কাজ করেও সেই ধারণার পরোয়া করেন না সোনাক্ষী সিনহা। তাঁর দোসর হয়েছেন হুমা কুরেশিও। তাঁদের একসঙ্গে দেখা যাবে 'ডাবল এক্সএল' ছবিতে।
ছবির চিত্রনাট্যকার মুদাসসর আজিজ জানান, অতিমারি আবহে সোনাক্ষী আর হুমাকে একসঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে দেখেই তাঁর মাথায় ছবির কাহিনি আসে। সে কথা দুই অভিনেত্রীকে জানাতে তাঁরাও উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন! এমন স্বাভাবিক-সুন্দর, জীবনের কাছাকাছি গল্পই তো চান সোনাক্ষী আর হুমা।
লোকজন যতই কটাক্ষ করুক, তাঁরা নিজেদের চেহারা নিয়ে আদৌ ভাবেন না। ওজন বাড়ে বাড়ুক, যে ভাবে প্রাণ চায় সে ভাবেই বাঁচার পক্ষপাতী 'লুটেরা'-র নায়িকা। তিনি সাধারণের চোখে বরাবরই 'স্থূলাঙ্গী'। তাঁর ছবির নীচে তির্যক মন্তব্যের বন্যা বয়ে যায়। তবু নিজের খুশিতেই ইন্ডাস্ট্রিতে চলাফেরা করেন শত্রুঘ্ন-কন্যা।
তাঁর এই স্বাভাবিক যাপনই এবার সমাজের কাছে স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে আসতে চলেছে 'ডাবল এক্সএল'। পর্দায় কেবল গতে বাঁধা চেহারা কেন? স্বাভাবিক সৌন্দর্যও যে ধরা দিতে পারে, তা দর্শককে বুঝিয়ে দিচ্ছেন পরিচালক সৎরাম রামানি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী বলেন, "আপনার যেমনই চেহারা হোক, লোকে তা নিয়ে কথা বলবেই। বলছেও। বিশেষত মহিলাদের ওজন একটু বেশি হলেই সবার চোখ টাটায়। তবে আমি কোনও দিন এ সব পাত্তা দিই না। এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার দিন ফুরিয়েছে বলে মনে করি।"