আরব সাগরের পাড়ে হওয়ার কারণে বাড়ির নাম রাখা হয়েছে ‘কিনারা’। বাড়ির বাইরেটা যতটা সুন্দর, ভিতরটাও তাকে পাল্লা দিতে প্রস্তুত। শিল্পা শেট্টি এবং রাজ কুন্দ্রার স্বপ্নের বাড়ির অন্দরসজ্জা দেখলে চমকে যাবেন।
বাড়ির অন্দরসজ্জার পুরোটাই শিল্পা নিজের হাতে করেছেন। দেশ-বিদেশ থেকে পছন্দমতো এক একটা ঘরসজ্জার জিনিস এনেছেন নিজে পছন্দ করে।
শিল্পার বৈঠকখানায় প্রবেশ করলে প্রথমেই যা দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেয়, তা হল বিশালাকার একটি ঘোড়ার মূর্তি।
প্রাণীর চামড়ার মতো পোশাক খুব পছন্দ করেন শিল্পা। তাঁর বৈঠকখানাতেও তাই তিনি প্রাণী-চামড়ার ছাপ রেখেছেন। বিশালাকার এই ঘরটি বৈঠকখানা। অন্য দামি আসবাবের সঙ্গে জেব্রার ছাপযুক্ত একটি টেবিল ক্লথও রেখেছেন তিনি।
খাবার ঘরে রয়েছে বড় মাপের একটি কাঠের টেবিল। গোটা পরিবার যাতে একসঙ্গে বসে খেতে পারে, সে কথা মাথায় রেখেই এই টেবিলটি পছন্দ করেছেন শিল্পা।
কাচের দরজা দিয়ে বৈঠকখানা এবং খাবার ঘর আলাদা করেছেন তিনি। বড় কাঠের টেবিলের সঙ্গে মানানসই চামড়ার আসন লাগানো চেয়ারও রয়েছে।
বালাজির ভক্ত শিল্পা। সে কথা মাথায় রেখে ঘরের একটা অংশে মন্দির করেছেন তিনি। শিল্পা শেট্টি গণেশেরও ভক্ত। তাই অন্দরসজ্জায় বিভিন্ন ধরনের গণেশ মূর্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
শিল্পা এবং রাজের মেয়ে সামিসার জন্য সম্প্রতি আলাদা ঘর তৈরি করা হয়েছে। ছোট এই মানুষটির কথা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে সাজানো হয়েছে ঘরটি। ঘর জুড়ে রয়েছে হালকা গোলাপি রঙের ছোঁয়া।
ছেলে বিহানের জন্যও রয়েছে আলাদা ঘর। সেখানে একটা কাঠের আলমারি, মিলিটারি সবুজ রঙের সোফা, সাফারি জিপের মতো বিছানা। সব কিছু বিহানের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই হয়েছে।
শিল্পা প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন। অনেক সময় বাড়ির বাগানে তিনি শরীরচর্চা করেন। তবে শরীরচর্চার জন্য একটি বিশেষ ঘর বরাদ্দ করেছেন রাজ এবং শিল্পা। খোলামেলা সেই ঘরে জিমের যাবতীয় আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে।
আরামদায়ক সোফা আর ছোট একটা টেবিল। এই ঘরেই পরিবারের সকলে একসঙ্গে বসে টিভি দেখেন। আড্ডা মারেন। তাই এর নাম ‘ফ্যামিলি রুম’।
সমু্দ্রের একেবারে তীরে রয়েছে তঁদের স্বপ্নের বাড়ি। বাড়ির বাইরে এবং ভিতর— সব জায়গা থেকেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করা যায়। সে কারণে পুরো বাড়িতেই বড় বড় কাচের জানলা রেখেছেন শিল্পা।
শিল্পা সমাজমাধ্যমে খুব সক্রিয়। প্রচুর ভিডিয়োয় তাঁকে বাড়ির এই সুইমিং পুলের সামনে শ্যুট করতে দেখা যায়।
পাথরের বড় হাতের প্রতিরূপ এবং বুদ্ধের মূর্তি রয়েছে বাগানে। দিনে অন্তত একবার বাগানে এসে বসেন শিল্পা। তাঁর যোগা অনুশীলনের সঙ্গী এই বাগান।
আর বাড়ির পিছনে রয়েছে খামার। সেখানে লেটুস, ধনে, পুদিনার মতো একাধিক উপকারী গাছ লাগিয়েছেন তিনি।
শিল্পা-রাজের বেডরুম। আকারে অনেকটাই বড়। তিব্বতি দরজা লাগানো হয়েছে এই ঘরে। অন্দরসজ্জায় এটি আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। ঘুমে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তাই সাদা পর্দা লাগানো রয়েছে। সকাল সকাল সূর্যের আলোয় ঘুম ভাঙার জন্য রয়েছে দেওয়াল জুড়ে কাচের জানলা।
এ ছাড়া মুম্বইয়ের ওরলিতে অত্যাধুনিক এবং বিলাসবহুল একটি রেস্তরাঁও খুলেছেন শিল্পা এবং রাজ। তাক লাগিয়ে দেবে তার অন্দরসজ্জাও। বিশেষ করে নজর কাড়বে রেস্তরাঁর আলোকসজ্জা। ৮ হাজার বর্গফুটের এই রেস্তরাঁর নাম রাখা হয়েছে ‘ব্যাস্টিয়ান’।