অক্ষয়
অতিমারির মোকাবিলায় উদারহস্ত অক্ষয়কুমার। কখনও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে, কখনও বিএমসির ফান্ডে টাকা ডোনেট করছেন। মাস্ক ও পিপিই কিট কিনে দিয়েও সাহায্য করেছেন। এ বার পাশে দাঁড়ালেন ইন্ডাস্ট্রির জুনিয়র আর্টিস্ট ও দিনমজুরদের পাশে। সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে ৪৫ লক্ষ টাকা দিলেন অক্ষয়। করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমাতে সরকার থেকে ঘোষিত লকডাউনে বহু মানুষ কর্মহীন। ফলে রোজগার বন্ধ। তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই অক্ষয়ের এই পদক্ষেপ। সিআইএনটিএএ-র জয়েন্ট সেক্রেটারি অমিত বেহাল ইন্ডাস্ট্রির দৈনিক পারিশ্রমিকে কাজ করা মানুষদের সমস্যার কথা ও ফান্ডে টাকার অভাবের কথা আলোচনা করেন অন্যতম সদস্য আয়ুব খানের সঙ্গে। আয়ুব তা জানান সাজিদ নাদিয়াদওয়ালাকে। সাজিদ সমস্যা নিয়ে শরণাপন্ন হন তাঁর প্রতিবেশী ও বন্ধু অক্ষয়ের। আর এই সমস্যার কথা শুনতেই তিনি সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেন। আপাতত ফান্ডের টাকা থেকে ৩০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে সিআইএনটিএএ-র দৈনিক পারিশ্রমিকের উপর নির্ভরশীল সদস্যদের। এই অতিমারির মাঝে রোজগার বন্ধ থাকলেও যাতে তাঁদের অন্নসংস্থান হয়। প্রয়োজনে আরও টাকা দেবেন বলে জানিয়েছেন অক্ষয়।
এ ছাড়াও এর মাঝেই তিনি দিনমজুর ও পরিযায়ী মহিলা শ্রমিকদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তাঁদের মেনস্ট্রুয়াল সুরক্ষার জন্য। স্যানিটারি ন্যাপকিন ডোনেট করে পিছিয়ে পড়ার শ্রেণির মহিলাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তিনি নিজেই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ডোনেট করার কাজে অংশ নিয়েছেন। টাকার অভাবে মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন বজায় না রাখলে অন্যান্য অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সকলের কাছেই সাহায্যের আবেদন অভিনেতার।