Entertainment news

পেট চালাতে দরজায় দরজায় কসমেটিক্সও বেচতে হয়েছে ১৪ বছরে অনাথ হওয়া আরশাদকে!

জানেন কি একসময় অত্যন্ত অর্থকষ্টে দিন কেটেছে আরশাদ ওয়ারসির? ১৪ বছরে অনাথ হওয়া আরশাদ ওয়ারসিকে পেট চালাতে দরজার দরজার কসমেটিক্সও বেচতে হয়েছে!

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ১৭:১৮
Share:
০১ ১৭

বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে নাম উচ্চারিত হয় তাঁর। কিন্তু জানেন কি একসময় অত্যন্ত অর্থকষ্টে দিন কেটেছে আরশাদ ওয়ারসির? ১৪ বছরে অনাথ হওয়া আরশাদ ওয়ারসিকে পেট চালাতে দরজার দরজার কসমেটিক্সও বেচতে হয়েছে!

০২ ১৭

১৯৬৮ সালে ১৯ এপ্রিল মুম্বইয়ে জন্ম আরশাদ ওয়ারসির। দেওলালির একটি স্কুলে পড়াশোনা করতেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য খুব ছোট বয়স থেকেই যেন সঙ্গী হয়ে উঠেছিল আরশাদের।

Advertisement
০৩ ১৭

দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা-মা দুজনকেই হারান আরশাদ। তখন আরশাদের বয়স মাত্র ১৪ বছর। তাই ক্লাস টেনের পর আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি।

০৪ ১৭

আরশাদের বাবা একজন মিউজিসিয়ান ছিলেন। সেই দিক থেকে পারিবারিক আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট স্বচ্ছল ছিল তাঁদের।

০৫ ১৭

কিন্তু ওই কম বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে অনাথ হওয়া আরশাদ সে সময় পাশে কাউকেই পাননি। যে বাড়িতে তিনি থাকতেন, সেখান থেকে বাধ্য হয়ে মুম্বইয়ের অন্য একটি বাড়িতে উঠে আসেন। পারিবারিক সম্পত্তির বেশিরভাগই ভাড়াটিয়াদের দখলে চলে যায়।

০৬ ১৭

এ দিকে পড়াশোনাতেও ইতি পড়ে গিয়েছিল। কী করবেন, কী ভাবে খাবার জোটাবেন তা ভেবে উঠতে পারছিলেন না।

০৭ ১৭

বাধ্য হয়েই মাত্র ১৭ বছর বয়সে চূড়ান্ত অর্থাভাবে দরজায় দরজায় গিয়ে কসমেটিক্স বিক্রির কাজ শুরু করেন আরশাদ। তার পর কিছু দিন একটা ফোটো ল্যাবে কাজ শুরু করেন।

০৮ ১৭

ফোটো ল্যাবে কাজ করার সময় পরিচালক মহেশ ভট্টের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। মহেশ ভট্টের সঙ্গে কয়েকটি ফিল্মে ফটোগ্রাফির কাজ পেয়েছিলেন আরশাদ। সে সময় শুটিং সেটে পূজা ভট্টও আসতেন। শোনা যায়, পূজার সঙ্গেও বেশ ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল তাঁর।

০৯ ১৭

স্কুলে পড়ার সময় থেকেই জাতীয় স্তরের জিমন্যাস্ট ছিলেন আরশাদ। তাই ফিটনেস ভাল ছিল। সেটার সুবিধা নিয়েই নাচের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর।

১০ ১৭

আকবর শামির নাচের দলে যোগ দেন আরশাদ। বেশ কিছু পুরস্কার জেতার পর ‘অসম’ নামে নিজের ডান্স স্টুডিও খোলেন। তখন থেকেই কোরিওগ্রাফার হিসেবে বলিউডে নিজের কেরিয়ার তৈরি করতে শুরু করেন তিনি।

১১ ১৭

১৯৯৩-এ ‘রূপ কি রানি চোরোঁ কা রাজা’ ছবির টাইটেল ট্র্যাক কোরিওগ্রাফ করার দায়িত্ব পান আরশাদ। আরশাদের ফোকাস স্থির ছিল। তিনি জানতেন, বলিউডে ভাল কোরিওগ্রাফার হতে গেলে কী করতে হবে, কী ভাবে এগোতে হবে তাঁকে।

১২ ১৭

কিন্তু তাঁর ভাগ্য তাঁর জন্য অন্য কিছুই লিখছিল। সে সময়ই ১৯৯৬-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেরে মেরে স্বপ্নে’ ছবির অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁকে অফার দেন খোদ জয়া বচ্চন। ওই ফিল্মে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল।

১৩ ১৭

এর পর একে একে ‘বেতাবি’, ‘মেরে দো আনমোল রতন’, ‘হিরো হিন্দুস্তানি’, ‘হোগি প্যায়ার কি জিত’, ‘মুঝে মেরি বিবি সে বাঁচাও’-এর মতো একের পর এক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেন আরশাদ।

১৪ ১৭

তবে ২০০৩ সালের ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর ‘সার্কিট’ চরিত্রটি আরশাদকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল।

১৫ ১৭

নিজেকে ধীরে ধীরে বলিউডের প্রথম সারির কমেডি অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। পাশাপশি ‘চকোলেট’, ‘কাবুল এক্সপ্রেস’-এর মতো অন্য ধারার ছবিতেও তাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শক। তাঁর প্রথম সোলো হিট ছিল ‘জলি এল এল বি’-তে আইনজীবীর চরিত্র।

১৬ ১৭

আরশাদের এই স্ট্রাগল-পূর্ণ জীবনে তাঁর পাশে থেকেছেন স্ত্রী মারিয়া গোরেতি। যখন আরশাদ কেরিয়ার তৈরির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলতেন, স্ত্রী মারিয়া তাঁদের পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব একা পালন করতেন।

১৭ ১৭

১৯৯১-এ একটি কলেজের অনুষ্ঠানে গিয়ে মারিয়া গোরেতির সঙ্গে আলাপ হয় আরশাদের। আট বছরের সম্পর্কের পর ১৯৯৯-এ বিয়ে করেন তাঁরা। দম্পতির এক পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement