গত ৯ সেপ্টেম্বর নিজের জন্মদিনে অক্ষয় কুমার জানিয়েছেন, আগামী বছর পৃথ্বীরাজ চৌহানের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। অক্ষয় ছাড়াও অনেকেই এ ধরনের ঐতিহাসিক চরিত্র করেছেন। অথবা শীঘ্রই তাঁদের এমন চরিত্রে দেখা যাবে। ‘পৃথ্বীরাজ’-সহ বলিউডের এমন কয়েকটি ফিল্ম কী কী, তা দেখে নেওয়া যাক।
যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে আগামী বছরের দীপাবলিতে মুক্তি পাবে ‘পৃথ্বীরাজ’। অক্ষয় কুমার ছাড়াও তাতে রয়েছেন প্রাক্তন মিস ওয়র্ল্ড মানুষী চিল্লর। পৃথ্বীরাজের স্ত্রী সংযুক্তার ভূমিকায় নাকি মানুষীকে দেখা যাবে। আর মহম্মদ ঘোরীর ভূমিকায় রয়েছেন মানব ভিজ। এ ফিল্মের পরিচালকের চেয়ারে বসেছেন চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী।
শিবাজির বাহিনীর সেনানি তানাজি মালুসারের কথা অনেকের কাছেই অজানা রয়ে গিয়েছে। শিবাজির পাশে থেকে বিভিন্ন যুদ্ধ ছাড়াও ১৬৭০-এ সিংহগড়ের যুদ্ধে লড়েছিলেন তিনি। আগামী বছরের গোড়ায় মুক্তি পেতে পারে ‘তানাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’। প্রযোজনা করা ছাডাও এতে অভিনয় করেছেন অজয় দেবগণ। সঙ্গে সইফ আলি খান ও কাজল। পরিচালনায় ওম রাউত।
রণবীর সিংহ এ বার শাহজাহানের ছেলে দারা শিকোহের চরিত্রে। ‘তখ্ত’-এ। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ভিকি কৌশল,করিনা কপূর খান, আলিয়া ভট্ট, ভূমি পেদনেকর, জাহ্নবী কপূর ও অনিল কপূর। পরিচালনায় কর্ণ জোহর। আগামী বছরের রিলিজ হতে পারে এ ফিল্মটি।
‘যোধা আকবর’ এবং ‘মহেঞ্জো দাড়ো’-র পর ফের ঐতিহাসিক ফিল্ম নিয়ে আসছেন আশুতোষ গোয়ারিকর। আগামী ডিসেম্বরে মুক্তি পেতে পারে এই ফিল্মটি। এতে সদাশিব রাও ভাওয়ের চরিত্রে রয়েছেন অর্জুন কপূর। তা ছাড়া সঞ্জয় দত্তকে দেখা যাবে আহমেদ শাহ আবদালির চরিত্রে। এতে রয়েছেন কৃতি শ্যাননও।
ঐতিহাসিক চরিত্রে দেখা গিয়েছে বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানকেও। সন্তোষ শিবনের পরিচালনায় ‘অশোকা’-তে। ২০০১-এর এই ফিল্মে শাহরুখের পাশে দেখা গিয়েছিল করিনা কপূরকে। সম্রাট অশোকের জীবনীভিত্তিক কাহিনিটি অবশ্য বক্স অফিসে খুব একটা সফল হয়নি।
সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনীভিত্তিক গল্প নিয়ে শ্যাম বেনেগাল তৈরি করেছিলেন ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস: দ্য ফরগটেন হিরো’। ২০০৫-এর সেই ফিল্মে নেতাজির ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সচিন খেড়েকরকে।
নিজের কেরিয়ারে বরাবরই নানা ঝুঁকি নিয়েছেন আমির খান। ২০০৫-এ তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইজিং’-এ। আমিরের পাশাপাশি ছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়ও। তবে কেতন মেহতার পরিচালনায় এ ফিল্ম বক্স অফিসে একেবারেই সাফল্য পায়নি।
অনুরাগ সিংহের পরিচালনায় ‘কেশরী’-র কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন অক্ষয় কুমার। গত মার্চে রিলিজ করেছিল এ ফিল্মটি। ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগানদের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি শুনিয়েছেন পরিচালক। ১৮৯৭-এর ১২ সেপ্টেম্বর সরাগরহি ফোর্টে দশ হাজার পাঠান সেনার বিরুদ্ধে লড়ে শহিদ হন ২১ জন শিখ সেনা। সে গল্পই উঠে এসেছে এ ফিল্মে।
ভগৎ সিংহের কাহিনি নিয়ে বলিউডের সবচেয়ে বিখ্যাত ফিল্ম বোধহয় ১৯৬৫-এ রিলিজ হওয়া ‘শহিদ’। ভগৎ সিংহের চরিত্রে ছিলেন মনোজ কুমার। সে বছর জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা হিন্দি ফিল্মের পুরস্কারও পেয়েছিল এটি।
২০১৫ সালে রিলিজ হয়েছিল সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘বাজিরাও মস্তানি’। ফিল্ম রিলিজের আগে থেকেই নানা কারণে বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল এটি। পেশোয়া বাজিরাওয়ের জীবনী নিয়ে তৈরি এ ফিল্মে মস্তানির সঙ্গে প্রেমের দৃশ্য নিয়েও আপত্তি তুলেছিলেন কট্টরপন্থীরা। রণবীর সিংহ ও দীপিকা পাড়ুকোনের রসায়নের থেকেও শিরোনামে ছিল সে খবর।
যোধাবাঈ ও মুঘল বাদশা আকবরের প্রেমকাহিনি ফুটে উঠেছিল আশুতোষ গোয়ারিকরের ফিল্ম ‘যোধা আকবর’-এ। সেই ২০০৮-এ। হৃতিক রোশনের সঙ্গে এ ফিল্মে দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্যা রাইকেও।