সঙ্গীতকে কেন্দ্র করে যাঁর জীবন আবর্তিত, গানের মাধ্যমেই শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হল তাঁকে।
এক রবিবারে সব প্রার্থনা বৃথা করে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন অন্য সুরলোকে। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর ঠিক এক মাসের মাথায় আরেক রবিবারে নতুন করে স্মরণ করা হল তাঁকে। প্রয়াত গায়িকাকে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে সংস্কৃতি মন্ত্রকের ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারের (ইজেডসিসি) পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অতিথি হিসেবে পূর্বশ্রী অডিটোরিয়ামে উপস্থিত ছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য, ঊষা উত্থুপ, মনোময় ভট্টাচার্য, অনীক ধর, বিনোদ রাঠৌর, দেবজিৎ সাহার মতো শিল্পীরা। সঙ্গীতকে কেন্দ্র করে যাঁর জীবন আবর্তিত, গানের মাধ্যমেই শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হল তাঁকে।
ইজেডসিসি-র ডিরেক্টর গৌরী বসুর কথায়, “লতাজি আমাদের যা দিয়ে গিয়েছেন, তা অসীম। আমরা সকলেই লতাজির গান শুনে বড় হয়েছি। ওঁর গান গেয়েই ওঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেব আমরা।”
লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে গান গেয়েছেন বিনোদ রাঠৌর। তাঁর প্রয়াণ এখনও মেনে নিতে পারেননি গায়ক। অনুষ্ঠানে এসে বিষণ্ণ বিনোদ বলেন, “লতাদিদির সঙ্গে প্রথম দিনের সাক্ষাতের কথা আজও মনে আছে। ওঁর সঙ্গে গাওয়া একটি গান গেয়ে ওঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেব। আমি মনে করি লতা দিদি কোথাও যাননি। আমাদের মধ্যেই আছেন।”
গান গাইলেন ঊষা উত্থুপ।
গায়ক দেবজিৎ সাহার কথায়, “ছোট থেকে লতাজির কাছে অনেক কিছু শিখেছি। একটি গানকে কী ভাবে অনুভব করে গাওয়া যায়, কী ভাবে একটি শব্দ ঠিক করে উচ্চারণ করতে হয়, ওঁর গান শুনেই সে সব শেখা।”
চলে গিয়েছেন লতা। রেখে গিয়েছেন স্মৃতি, অজস্র গান। তাঁর সুরের মায়ায় তাঁকে ঘিরে থাকলেন গানের মানুষরা।