Mir Afsar Ali

Mir-Swastika: মাধুরীর সঙ্গে একই সিরিজে স্বস্তিকা, খবর ভাগ করে নিলেন ‘গর্বিত’ মীর!

মীরের কলম বলছে, অনেক পরিশ্রমের ফলাফল এই উত্তরণ। সেডান থেকে কলকাতায় ফিরেই মুম্বই বিমানমন্দরের উদ্দেশে রওনা। সেখান থেকে অটো ধরে অডিশন দিতে যাওয়া। একটুও না থেমে দিনের পর দিন একা একা এই পরিশ্রম করে যাওয়া অকল্পনীয়। নারী দিবসের আগে এত ভাল খবর, আজ স্বস্তিকার নিজেকে নিয়ে গর্ব করার মতোই দিন— দাবি সঞ্চালকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২২ ১৯:৩৪
Share:

স্বস্তিকাকে নিয়ে লিখলেন মীর

মীর আফসার আলি এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। টলিপাড়ার কানাঘুষো বলে, তাঁরা নাকি প্রেমে আছেন! রসায়নেও।

Advertisement

গত বছরের শেষে সেই গুঞ্জনে তোলপাড়। কারণ, ‘মাইকেল’-এর পরে বড় পর্দায় ফের জুটিতে দু’জনে। সৌজন্যে নতুন পরিচালক অভিজিৎ শ্রী দাসের প্রথম ছবি ‘বিজয়ার পরে’। নতুন বছরের প্রথম মাসেই শ্যুট শেষ। চর্চাতেও তাই সাময়িক ছেদ। নারী দিবসের ঠিক আগের দিন আচমকা ফের জল্পনায় মীর-স্বস্তিকা!

কী ভাবে? বলিউডের ‘হর কহানি হ্যায় জরুরি’ সিরিজে মাধুরী দীক্ষিত, মাসাবা গুপ্তা, শ্বেতা ত্রিপাঠীর সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিচ্ছেন সন্তু মুখোপাধ্যায়ের বড় কন্যাও। সেই খবর স্বস্তিকা নিজে জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে তা পোস্ট করেছেন মীরও। শুভেচ্ছা জানানো তো আছেই, একইসঙ্গে নেটপাড়ার বাসিন্দাদের এক হাত নিয়েছেন জনপ্রিয় সঞ্চালক। মীরের দাবি, ‘অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া না করে ওঁর কর্মকাণ্ড দেখুন! স্বস্তিকার এই উত্তরণে হুগলি নদীর তীরে বসবাসকারী প্রত্যেক নগরবাসী গর্বিত।’ সঙ্গে সঙ্গে আবারও জোরদার চর্চা। শুধুই বন্ধুত্ব? নাকি, তার থেকেও কিছু বেশি আছে দুই তারকার মধ্যে?

Advertisement

দু’জনেই ফোনে অধরা। তবে ‘বিজয়ার পরে’র শ্যুটে উপস্থিত ছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তখনই ক্যামেরার সামনে যুগলের রসায়ন দেখে মীরের কাছে এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। অভিনেতা-সঞ্চালক সে দিন বলেছিলেন, ‘‘স্বস্তিকা আমার এমন বন্ধু, যার সঙ্গে এক বছর পরে কথা বললেও মনে হয় না, এত দিন পরে কথা বলছি! একই ভাবে পর্দায় এত শক্তিশালী সহ-অভিনেতা যে, পর্দা ভাগ করতে ভয় লাগে। অভিনয় করে সমৃদ্ধ হই।’’

সেই ভাবনা থেকেই ফের দীর্ঘ শুভেচ্ছা-বার্তা লিখেছেন মীর। তাঁর কলম বলছে, অনেক পরিশ্রমের ফলাফল এই উত্তরণ। এক দিনে হয়নি। সেডান থেকে কলকাতায় ফিরেই মুম্বই বিমানমন্দরের উদ্দেশে রওনা। সেখান থেকে অটো ধরে অডিশন দিতে যাওয়া। অভিনেতার মতে, একটুও না থেমে দিনের পর দিন একা একা এই পরিশ্রম করে যাওয়া অকল্পনীয়। তাই পরিশ্রমের ফল এত মিষ্টি। নারী দিবসের আগে এত ভাল খবর, আজ স্বস্তিকার নিজেকে নিয়ে গর্ব করার মতোই দিন— দাবি সঞ্চালকের। একই সঙ্গে মীরের কটাক্ষ, ‘এ ভাবেই তোমার কাজ তোমার নিন্দকদের মুখে জোরালো থাপ্পড় মারুক। যাঁরা তোমার যাপিত জীবন না জেনেই দূর থেকে তোমায় নিয়ে চর্চা করে! একই সঙ্গে মাটিতে পা রেখে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন বাস্তব করলে তুমি। তোমায় কুর্ণিশ।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement