‘ফুলকি’ চরিত্রে দিব্যাণী মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
রোহিত রায়চৌধুরীর সঙ্গে ফুলকির বিয়ের পর্ব দেখেছেন দর্শক। দিন যত এগোচ্ছে দর্শকের আগ্রহও ততটাই বাড়ছে। টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে ‘ফুলকি’ সিরিয়ালটি। তাই প্রতি দিন দর্শককে নতুন নতুন চমক দেওয়ার চেষ্টা করছেন নির্মাতারা। আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সিরিয়ালে দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে দোল উৎসব— সবটাই দেখানো হয়। বর্ষাকালে গল্প থেকে বাদ গেল না ইলিশ উৎসবও। রায়চৌধুরী পরিবার আয়োজন করেছে ইলিশ উৎসবের। গল্পের খলনায়িকা ঈশিতা সেই উৎসবে নিয়ে এসেছে শহরের মন্ত্রীকে। এক দিকে যেমন সে নায়িকা ফুলকির বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলেছে, তেমনই আবার নিজের কেরিয়ার গোছানোর চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে সে। ক্যামেরার সামনে তাঁদের সমীকরণ আদায় কাঁচকলা। ক্যামেরা বন্ধ হলে তাঁরা কী করেন? এই আগ্রহ কখনও কম হয় না। ফুলকি, ঈশিতা, রোহিত, পারমিতারা কেমন ভাবে শুটিং করেন? খোঁজ নিতে সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার স্টুডিয়োয় পৌঁছেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
স্টুডিয়োয় রীতিমতো হই হই কাণ্ড। চারিদিক সাজানো হয়েছে অনেকটা গ্রামবাংলার আদলে। দু’দিকে সারি দিয়ে মাটির উনুন। মাটির বাড়িতে খড়ের চাল। লাল শালু দিয়ে সাজানো চারিদিক। ইলিশ উৎসবকে সফল করতে ব্যস্ত সবাই। আগের দিন রাত আড়াইটে পর্যন্ত শুটিং করার পর আবার সকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে শুটিং। শটের ফাঁকে দেখা গেল ফুলকিকে। চেনার উপায় নেই। হাতে হলুদ, সবুজ কাচের চুড়ি। ভ্রুতে রং করা হয়েছে। গ্রামের বৌদের মতো শাড়ি পরে স্টুডিয়োয় ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফুলকি ওরফে দিব্যাণী মণ্ডল বললেন, “কয়েক মাস হয়ে গেল সেটে। ভাল লাগছে। এখন একটু একটু করে বুঝতে পারছি। কাজ শিখছি। সবাই আমায় ভালবাসে আর বয়সে আমি ছোট বলে সারা ক্ষণ মজা করে।”
পর্দার সামনে এবং পর্দার পিছনে দুই জায়গায় সকলেরই প্রিয় পাত্রী হয়ে উঠেছে সে। তবে ক্যামেরার সামনে ফুলকির এই বা়ড়বাড়ন্ত মোটেই পছন্দ হচ্ছে না ঈশিতা ওরফে আয়েন্দ্রী রায়ের। অভিনেত্রী জানালেন বাস্তবে তিনি সম্পূর্ণ অন্য মানুষ। আয়েন্দ্রী বললেন, “আমায় পর্দায় দর্শক যেমন দেখেন, আদতে আমি তেমন নই। তাই খলনায়িকারা আমায় বেশি টানে হয়ত। আমি তো বিন্দু মাসি অর্থাৎ অনামিকা সাহার ভক্ত।” ইলিশ উৎসব তো ইলিশ ছাড়া ভাবাই যায় না। আয়েন্দ্রীর ধারণা শুটিংয়ের শেষে পাতে নিশ্চয়ই ইলিশ পড়বে। তবে সিরিয়ালের নায়িকার এই বিষয়ে কোনও আগ্রহ নেই। কারণ বিগত তিন-চার বছর ধরে তিনি মাছ-মাংস খান না। কৃষ্ণভক্ত দিব্যাণী বললেন, “আসলে আমি নিয়মিত ইস্কনে যাই। ওখান থেকেই আমার এই সিদ্ধান্ত। তাই মাছ, মাংস, ডিম কোনও কিছুই খাই না।” ইউনিটের প্রত্যেকের মধ্যেই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। কিন্তু তার পরেও পুরনো টিমকে মিস্ করছেন কৌশাম্বী চক্রবর্তী। এই সিরিয়ালে পারমিতা চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। কৌশাম্বীর কথায়, “মিস্ তো সবাইকেই করছি। তবে পারমিতা চরিত্রটা আমায় অনেক সমৃদ্ধ করেছে।”