শঙ্কর-ঐশানী। ছবি: সংগৃহীত।
কিছু দিন আগে সিরিয়াল বন্ধ হওয়ার খবরে গোটা স্টুডিয়োপাড়া নড়েচড়ে বসেছিল। শঙ্কর এবং ঐশানীকে নাকি আর দেখা যাবে না পর্দায়। সত্যিই কি তাই? সেই খোঁজ নিতেই টালিগঞ্জের নিউ থিয়েটার্স স্টুডিয়োয় হাজির হয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তীব্র গরমেও তুমুল ব্যস্ততা পাইস হোটেলের অন্দরে। শুটিংয়ের ফ্লোরে নিস্তব্ধতা। তখন শট দিচ্ছেন শঙ্করের মা মহেশ্বরী ঘোষ ওরফে মিঠু চক্রবর্তী। বড় ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। বাড়িতে বিপদ। ছেলের বিপদে রীতিমতো কান্নাকাটি জুড়েছেন। শট কাটতেই আবার শুরু হইহই।
শঙ্কর এবং ঐশানীর শুটিং চলেছে ভোর ৫টা পর্যন্ত। ফলে তাঁদের কলটাইম দেরিতে। কিন্তু শুটিং বন্ধ রাখলে তো এপিসোডের ব্যাঙ্কিং তোলা যাবে না। আনন্দবাজার অনলাইনকে সামনে পেয়ে ফ্লোর ম্যানেজার বলেই ফেললেন, ‘‘কী যে ভুয়ো খবর রটছে সত্যিই বুঝতে পারছি না! সেটে এসে কি মনে হচ্ছে এই সিরিয়ালটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে কয়েক দিনেই?’’
টালিগঞ্জের নিউ থিয়েটার্স স্টুডিয়োয় ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ সিরিয়ালের কলাকুশলী। ছবি: সংগৃহীত।
এই মুহূর্তে টিআরপি তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’। চ্যানেলে এতগুলো সিরিয়ালের মাঝে এটি অন্যতম সফল সিরিয়াল। আচমকা নেতিবাচক প্রচারে অনেকটাই বিরক্ত টিমের সদস্যেরা। মিঠু বললেন, “কেন যে এমন ভুল খবর ছড়িয়ে পড়ে বুঝতে পারি না। এই প্রোডাকশনের সঙ্গে কাজ করে তো বেশ ভাল লাগছে। শুটিং বন্ধ হওয়ার তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সবাই কী সুন্দর আমরা মিলেমিশে কাজ করি। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া হয়। বাচ্চারা সবাই আনন্দ হইহই করতে করতে কাজ করে। মাঝে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে খুব খারাপ লাগে।”
মিঠু কথা বলতে বলতেই স্টুডিয়োয় হাজির হলেন নায়ক-নায়িকা। প্রায় সারা দিন সারা রাত শুটিং চলছে। কখন যে সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, তাঁরা নিজেরাই বুঝতে পারছেন না। এই সেটে আবার দুই রাহুল। এক জন একটু সিনিয়র অবশ্য। রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিকে সিনেমার শুটিং করছেন। তার পর আবার সিরিয়ালে শট দিতে আসছেন। অন্য দিকে, রাহুল মজুমদারও কাজের ব্যস্ততায় স্ত্রী প্রীতি বিশ্বাসকে ঠিক মতো সময়ই দিতে পারছেন না। এত কিছুর মাঝে গুজবে গুরুত্ব দিতে মোটে রাজি নন ‘শঙ্কর’।
তিনি বললেন, “সকাল বিকেল শুটিং করছি। এত বাইরের কথা শুনতে পারছি না। নীলাঞ্জনা (সেনগুপ্ত), যিশুদা (সেনগুপ্ত) আমার দেখা সেরা প্রযোজক।” প্রশংসায় পঞ্চমুখ নায়িকাও। শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায় বেশ কিছু সিরিজ়ে অভিনয় করলেও ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ সিরিয়ালের মাধ্যমেই দর্শকের নজরে আসেন। শুভস্মিতা বললেন, “আমরা এখানে যত জন কাজ করি সবাই প্রায় একই বয়সের। ফলে দারুণ মজা হয়। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া। শুটিং না থাকলে আমরা বাইরেও দেখা করি, আড্ডা দিই। এই গুজবের মাঝে আমি একটাই কথা বলতে পারি আমরা ছিলাম, আছি এবং থাকব।”