ফাইল চিত্র।
পায়েল সরকার এখন ভীষণ ব্যস্ত। ‘হ্যালো ৪’-এর ডাবিং চলছে। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘জালবন্দি’। নতুন ছবি ‘এনক্রিপ্টেড’-এর প্রচার চলছে। তার ফাঁকেই আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি অভিনেত্রী।
প্রশ্ন: এত কাজ, নিজের জন্য সময় পাচ্ছেন?
পায়েল: হ্যাঁ, আছে। সেটা সব সময় আছে।
প্রশ্ন: একা সময় কাটান কী ভাবে?
পায়েল: ছবি, ওয়েব সিরিজ। আমার প্রিয় সঙ্গী। বাইরে খেতে যাব একা সেই ইচ্ছা কোনও দিনও ছিল না। এখনও হয় না। তবে অন্ধকার ঘরে সিনেমা, সঙ্গে অনলাইনে খাবার আনিয়ে খেতে ভালই লাগে।
প্রশ্ন: পায়েল সরকার খায়?
পায়েল: আমি কোনও দিনই কঠিন নিয়ম পালন করি না। বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতে পার্টি করি। সেখানে তো খাওয়াদাওয়া হয়েই যায়।
প্রশ্ন: ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকাদের পার্টিতে খুব বেশি দেখা যায় না, এত বছরে বন্ধুত্বটা ঠিক হল না?
পায়েল: আমার কাছে দুটো জায়গা খুব আলাদা। পেশাটা আলাদা। বন্ধুত্বটা আলাদা। তা বলে বন্ধুত্ব নেই বললে ভুল হবে। হ্যাঁ, পার্টি করে সঙ্গে সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ছবি দিই না। আমার খুব কম বন্ধু আছে। জানি যে আমার পিছনে খারাপ কথা বলবে না।
প্রশ্ন: ‘এনক্রিপ্টেড’ ছবিতে আপনার বোন প্রেমে আঘাত পেয়ে বিপথে চলে যায়। খানিকটা বাস্তবের চিত্রই উঠে আসছে না?
পায়েল: একদম। আমাদের ঠিক পরের প্রজন্ম যারা, তাদের ক্ষেত্রে দেখি কিছু একটা ঘটলে— প্রেমে আঘাত কিংবা মন ভাঙলে— এক চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। কেন করে জানি না। তাদের কি ধৈর্য কম, নাকি সহ্যক্ষমতাই নেই? হয়তো পরিণত নয় বলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়। আমি যখন ১৬-১৭ ছিলাম, আমারও মন ভেঙেছে। তখন ভেবেছি, জীবনে আরও বড় কিছু অপেক্ষা করে আছে। জীবনে বাধা আসবে, কিন্তু উঠে দাঁড়াতে হবে। এখন সোশ্যাল মিডিয়া অবশ্য একটা বড় প্রভাব ফেলেছে। এ বিষয়ে একটা প্রশিক্ষণ দরকার।
প্রশ্ন: নেটমাধ্যম থেকে কখনও আপনার প্রেম হয়েছে?
পায়েল: না, না, একদম না। এক জনকে চিনি না, শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপে তার সঙ্গে ‘ডেট’-এ চলে গেলাম, এটা করতেই পারব না। প্রেমে আমি এত মরিয়া নই।
প্রশ্ন: প্রথম প্রেম কবে?
পায়েল: তখন ১৫-১৬ বছর বয়স হবে হয় তো।
প্রশ্ন: রণিতা-সৌপ্তিক দু’জনেই প্রযোজক হিসেবে নতুন। কেমন তাঁরা?
পায়েল: সৌপ্তিক পরিচালক হিসেবে নতুন। খুব যত্ন সহকারে তৈরি করেছে এই ছবি। আমি আছি বলে বলছি না। আর প্রযোজক হিসেবে বলব, খুব খুব ‘প্যাম্পর’ করে অভিনেতাদের।
প্রশ্ন: কয়েক দিন আগে নেটমাধ্যমে এ নিয়ে বিস্তর তর্ক হয়েছে। সন্দীপ রায়ও অভিনেতাদের খুব যত্নে রাখেন। এ বিষয়ে এক প্রযোজক অনেক কথা বলেছেন...
পায়েল: এটা নিয়ে কী উত্তর দেব আমি? আমি শুনেছি, বাবুদার শ্যুটে উনি অভিনেতাদের খুব যত্নে রাখেন। বেশির ভাগ ভাল প্রযোজক-পরিচালক তাদের অভিনেতাদের খুব যত্ন করেন। কথাগুলো যাঁরা বলেন, তাঁরা নিতান্ত অশিক্ষিত, তাঁদের থাকাই উচিত নয়। আপনার ইচ্ছা হলে আপনি এটা লিখতে পারেন, আবার না-ও লিখতে পারেন। ধরে নিন, আমি এ সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিলাম না।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।