অগ্নিপথ যে কত ভাল প্রকল্প, ব্যাখ্যা কঙ্গনার
বরাবরই কেন্দ্রের শাসক দলের পক্ষে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ‘অগ্নিপথ’ বিতর্কে যখন দাউদাউ জ্বলছে দেশের নানা প্রান্ত, তা নিয়ে ফের সরব হলেন ‘কুইন’। কঙ্গনার দাবি, অত্যন্ত ভাল এই প্রকল্প। এ-ই তো আত্মশুদ্ধির উপায়! দেশের যুবসমাজ যখন মাদক আর অনলাইন গেমে আসক্ত, ‘অগ্নিপথ’ তা থেকে মুক্তি দিতে পারে বলে দাবি অভিনেত্রীর।
সম্প্রতি ভারত সরকার ঘোষণা করেছে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প। তার মাধ্যমে সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখা— স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনায় চুক্তিভিত্তিক ভাবে চার বছরের জন্য যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের নাম হবে ‘অগ্নিবীর’। বয়সসীমা নিয়ে আপত্তি ওঠায় পরে ২১ বছরের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২৩ করা হয়েছে। চার বছর শেষে সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতি ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের সম্মানজনক আর্থিক প্যাকেজ দিয়ে ‘বিদায়’। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের বিভিন্ন শর্তে আপত্তি উঠেছে দেশ জুড়ে। প্রবল জনরোষের জেরে নানা প্রান্তে চলছে ভাঙচুর, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ। কঙ্গনার প্রশ্ন, ‘অগ্নিপথ’-এর ভাল দিকগুলো কেউ দেখছেন না কেন?
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘সরকার যে এই পদক্ষেপ করেছে, তাতে আমি খুশি। এ প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ, জাতীয়তাবোধের জন্ম দেওয়া জরুরি। সীমান্ত পাহারা দেওয়ার সুযোগ পেলে তা সম্ভব।’’ অভিনেত্রীর দাবি, ইজরায়েল-সহ বহু দেশেই এখন তরুণদের জন্য সেনা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক হয়েছে। সে তো জীবনের প্রতি নিষ্ঠা, মনোযোগ ফিরিয়ে আনার জন্যই। দেশেও এমন হলে সমাজের গুণগত মান উন্নত হবে বলেই মত কঙ্গনার। আগামীতে ‘তেজস’ ছবিতে ভারতীয় বায়ুসেনা আধিকারিকের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে।