মনোজ
আরও এক বার ওয়েবে মনোজ বাজপেয়ী। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর পরে ‘মিসেস সিরিয়াল কিলার’-এ তিনি। ছবিটি প্রশংসিত না হলেও মনোজ নজর কেড়েছেন।
প্র: লকডাউনে বাড়ি থেকে দূরে। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন?
উ: লকডাউনের অনেক আগেই আমি উত্তরাঞ্চলে শুটিং করছিলাম। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে এখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এখানে সময় খুব ভাল কাটছে। পাহাড়ের বুকে দূষণমুক্ত পরিবেশ! আমার সঙ্গে স্ত্রী এবং মেয়েও আছে। তাই দিব্যি আছি। মেয়ে এখানে অনেক কিছু নতুন ভাবে জানছে। এখানে অনেক নিরাপদে আছি আমরা।
প্র: শিরীষ কুন্দরের সঙ্গে আগেও কাজ করেছেন। ‘মিসেস সিরিয়াল কিলার’ ওয়েব সিরিজ়ে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: আমি এর আগে শিরীষের এর সঙ্গে ‘কৃতী’ বলে একটি শর্ট ফিল্মে কাজ করেছিলাম। সেটি দর্শক খুব পছন্দ করেছিলেন। তখন থেকেই আমরা ভাল বন্ধুও হয়ে যাই। মুম্বইয়ে আমরা একে অপরের প্রতিবেশীও। ‘মিসেস সিরিয়াল কিলার’-এর গল্প নিয়ে ও যখনই আমার কাছে আসে, তখনই ‘হ্যাঁ’ করে দিই। জানতাম, আমার চরিত্র ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাজের জন্য অনেক প্রশংসাও পেয়েছি। সেট বড় প্রাপ্তি।
প্র: লকডাউনে ওয়েব সিরিজ়ের রমরমা। আগের চেয়ে অনেক বেশি দর্শক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দেখছেন। মনে হয়, এই ট্রেন্ড বজায় থাকবে?
উ: আমার মনে হয়, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে জার্নির সবে সূচনা হয়েছে। এর ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। লকডাউনে মানুষ ঘরে বসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ওয়েব সিরিজ় দেখে নিজেদের মনোরঞ্জন করেছেন। আর আমার মনে হয়, এর নেশা এত তাড়াতাড়ি মানুষের কাটবে না।
প্র: লকডাউন উঠলেও শুটিং কবে শুরু হবে, তা অনিশ্চিত। আপনি কী ভাবছেন?
উ: সব কিছু নির্ভর করছে কোভিড-১৯-এর বিলুপ্তির উপরে। এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবী একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। কিছু অনুমান করাটা খুব বোকামি হবে। তবে সিনেমার জায়গা কিন্তু কেউ নিতে পারবে না। আমাদের সকলকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। কমিউনিটি ভিউয়িং-এর আলাদা মজা আছে।
প্র: পরিস্থিতির চাপে নতুন কোনও স্কিল রপ্ত করলেন?
উ: নতুন শিখলাম কি না জানি না। তবে এখানে আসার পরে যতটা পেরেছি, ট্রেকিং করছি। সেই অনুভূতি খুব স্পেশাল। মুম্বই ফেরত গেলে এই বিষয়টি খুব মিস করব। দূষণমুক্ত পরিবেশে পরিবারের সঙ্গে যতটা সময় কাটানো যায় আর কী! মা-বাবার জন্যও খুব চিন্তা হয় এখন।