নামে কী যায় আসে, এমনটাই বলেছিলেন শেক্সপীয়ার। কিন্তু সত্যিই কি যায় আসে না! একবার ভাবুন তো আপনার প্রিয় হিরোর নাম যদি হয় ভেঙ্কট সত্যনারায়ণ প্রভাস রাজু উপ্পলপতি! ইচ্ছা করবে বারবার প্রিয় হিরোর নামোচ্চারণ করতে!
নাম শুনে নিশ্চয় বুঝেছেন, কোনও দক্ষিণী তারকার কথা হচ্ছে। কিন্তু কে বলুন তো এই হিরো?
প্রকৃত পক্ষে দক্ষিণী সুপারস্টার হলেও ইনি বলিউডেও এখন সমান তালে জনপ্রিয়। এই নায়ক অনেকের হার্টথ্রব।
তাঁর উপরেই কোটি কোটি টাকা বাজি ধরেন পরিচালক-প্রযোজকরা। আর তিনিও বক্স অফিসে একের পর এক বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন। গেস করুন তো কে ইনি?
চেন্নাইয়ে জন্ম এই সুপারস্টারের। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ডেবিউ ছবি ছিল ‘ঈশ্বর’। একেবারেই তার রেজাল্ট ভাল ছিল না। তখন প্রায় সকলেই ভেবে নিয়েছিলেন নতুন এই ছেলেটির কেরিয়ার বেশি দূর এগোবে না।
কিন্তু ঠিক তখনই তিনি পাশে পেয়েছিলেন কাকা কৃষ্ণম রাজুকে। তিনি ছেলেটিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিলেন।
এরপর হাতে এল ‘ভরসম’-এর মতো ছবি। যেখানে তৃষা কৃষ্ণনের সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন রোমান্স পছন্দ হল দর্শকদের।
তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ছবির চরিত্রের সঙ্গে নিজের গেটআপ সম্পূর্ণ বদলে ফেলতে তিনি অভ্যস্ত ছিলেন। তবে তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় এস এস রাজামৌলি পরিচালিত ‘বাহুবলী’।
এ বার নিশ্চয় আর বলতে হবে না কার কথা হচ্ছে! সুপার স্টার প্রভাসের। প্রভাবের প্রকৃত নাম ভেঙ্কট সত্যনারায়ণ প্রভাস রাজু উপ্পলপতি।
‘বাহুবলী’র প্রথম ছবিতেই সাফল্য এসেছিল। আর দ্বিতীয় পর্ব ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’ ভেঙে দিয়েছিল বক্স অফিসের যাবতীয় রেকর্ড। এটাই প্রথম ভারতীয় সিনেমা যেটা এক হাজার কোটির বেশি ব্যবসা করে ফেলেছিল।
প্রভাস পড়তে খুব ভালবাসেন। অবসরে যে কোনও বই পড়াটা তাঁর নেশা। বা়ড়িতে নিজস্ব লাইব্রেরিও রয়েছে এই অভিনেতার। জিম করার থেকে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সসারসাইজ বেশি পছন্দ করেন প্রভাস। ‘বাহুবলী’র যুদ্ধের দৃশ্যে রিফ্লেক্স ঠিক রাখার জন্য নাকি নিয়মিত ভলিবল খেলতেন তিনি।
স্বভাবে বেশ লাজুক। কোনও ব্যক্তির সঙ্গে নিজে কথা বলতে শুরু করতে তাঁর প্রবল অস্বস্তি হয়। ভারতীয় অভিনেতাদের মধ্যে প্রভাস অন্যতম যিনি এত বিখ্যাত হওয়া সত্বেও তাঁকে নিয়ে গসিপ প্রায় নেই বললেই চলে।
‘বাহুবলী’তে অভিনয় করার পর প্রায় ছ’হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন প্রভাস। তবে বিয়ে কবে করবেন বা কাকে করবেন, সে নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি তিনি।