(বাঁ দিক থেকে) প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রাহুল মুখোপাধ্যায়,অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত।
ঘটা করে ছবির মহরত। তার পর পরিচালক হিসেবে তাঁর উপর ফেডারেশনের (ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া) নিষেধাজ্ঞা। গত কয়েক দিন চর্চায় রয়েছেন রাহুল মুখোপাধ্যায়। ফেডারেশনের নিয়মবিরুদ্ধ কাজের জন্য পরিচালকের উপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ‘ডিএইআই’ (ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া)। ফলে এসভিএফ প্রযোজিত ছবিটির (‘প্রোডাকশন নম্বর: ১৭১’) ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছিল। সোমবার সমাধানসূত্র মিলল।
প্রযোজনা সংস্থা ছবিটি পুজোয় নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর। তবে রাহুলের উপর নিষেধাজ্ঞার জেরেই এখনও ছবির শুটিং শুরু করা সম্ভব হয়নি। আনন্দবাজার অনলাইন আগেই জানিয়েছিল, নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকলে, এই ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমিক হালদার ছবিটি পরিচালনার ভার নিতে পারেন। সোমবার প্রযোজনা সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি ঘোষণা করে এই খবরে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিচালনা না করলেও এই ছবির সঙ্গে জড়িয়ে থাকছেন রাহুল। ছবিটির ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার হিসেবে কাজ করবেন তিনি।
এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে নারাজ রাহুল। পরিস্থিতি দেখে তিনি কি দুঃখিত? আনন্দবাজার অনলাইনকে রাহুলের উত্তর, ‘‘এই পরিস্থিতিতেও আমি যে ছবির অংশ, তা জেনে আমি গর্বিত।’’ এই ধরনের পরিস্থিতিতে অনেক সময়েই দেখা যায়, প্রজেক্ট থেকে সরে দাঁড়ান পরিচালক। রাহুল সেখানে এখনও রয়েছেন। মনের জোর কী ভাবে সঞ্চয় করলেন তিনি? রাহুল বললেন, ‘‘শুরু থেকে এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি বলেই ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। নতুন ভূমিকায় আমি আমার সফর শুরু করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’’
এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, প্রিয়াঙ্কা সরকার, রজতাভ দত্ত, অপরাজিতা আঢ্য প্রমুখ। সৌমিক আগে ‘আবার বিবাহ অভিযান’ এবং ‘মহাভারত মার্ডার্স’ পরিচালনা করেছেন। তিনি যে পরিচালনায় দায়িত্ব ভাল ভাবে পালন করবেন, তেমনই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। শীঘ্রই ছবির শুটিং শুরু হবে।