অনির্বাণে মজেছেন শিবু-নন্দিতা?
শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ছবিতে তারকার চেয়েও বেশি প্রাধান্য পান অভিনেতারা। তেমন জনপ্রিয় মুখ ছবিতে না রাখা কি পরিচালক জুটির অনড় সিদ্ধান্ত? শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এমন প্রশ্ন ছিল পরিচালক জুটির অপেক্ষায়। দু’জনেই হেসে জানিয়েছেন, তারকাও পছন্দ। তবে গল্প অনুযায়ী চরিত্রের প্রয়োজন পড়ে। তাঁদের গল্পে এখনও অবধি তারকার উপস্থিতি প্রয়োজন পড়েনি, চরিত্রের মানানসই অভিনয়টাই দরকার হয়েছে। ফলে সেই মতো ঘুরেফিরে এসেছেন সুদক্ষ অভিনেতারা।
নিজেদের ছবি তৈরির পদ্ধতি নিয়ে কথা বলছিলেন সাম্প্রতিক টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক জুটি। শিবপ্রসাদ জানান, এখনকার বাঙালি অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা অনেকেই খুব প্রতিভাশালী। তাঁদের নিয়ে কাজ করতেও ভাল লাগে। তখনই লাইভের মন্তব্য বাক্সে এক দর্শকের প্রশ্ন— ‘অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে নিয়ে আপনাদের কোনও পরিকল্পনা রয়েছে?’ প্রশ্নটি লুফে নেন নন্দিতা। বলেন, ‘‘অবশ্যই। অনির্বাণ এক জন শক্তিশালী অভিনেতা। ওঁর অভিনয় দেখতে খুব ভাল লাগে। নিশ্চয়ই ওঁর সঙ্গে কাজ করব। কেন নয়!’’
তার একটু আগেই পরিচালক জুটি বলছিলেন, ডিরেক্টর্স অ্যাক্টর-ই তাঁদের পছন্দ। শ্যুটিং ফ্লোরে নিজেদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ হবে এটাই পছন্দ করেন তাঁরা, উদ্ভাবক অভিনেতা চান না। ফলে পরিচালকের কথামতো নিখুঁত অভিনয় করা অভিনেতাদের দিকেই তাঁদের বাড়তি ঝোঁক। তা ছাড়া, কলাকুশলী চয়নের বিষয়েও খুবই খুঁতখুঁতে নন্দিতা-শিবু। গল্পকে ফুটিয়ে তোলার জন্য যতটা আবেগ প্রয়োজন, তার সবটুকুই ক্যামেরায় ধরতে চান বলে জানিয়েছেন দু’জনে।
ঠিক যেমন তাঁদের নতুন ছবি ‘বেলাশুরু’-তে পর্দায় শেষ বার অভিনয়ে হৃদয়ের ছাপ রেখে গিয়েছেন সৌমিত্র আর স্বাতীলেখা। ‘বেলাশুরু’র শ্যুটিং ডায়েরিতে সে সব অনন্য সাধারণ অভিজ্ঞতার কথা লিখে রেখেছেন শিবু।