মৃত্যুর সঙ্গে যুঝছেন পরিচালক অরুণ রায়। নিজস্ব চিত্র।
ভাল নেই অরুণ রায়। অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ। গত বছরের শেষে ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেই সময় তাঁকে আইসিইউতে বাইপ্যাপ ব্যবস্থার সাহায্যে রাখা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সেই সময় জ্ঞান ছিল তাঁর। গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি কোমায়। ভেন্টিলেশনে জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে তাঁকে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যানসারে ভুগছেন পরিচালক।
‘বাঘা যতীন’ পরিচালকের অসুস্থতার খবর ছড়াতেই তাঁর ছবির নায়ক দেব দেখতে যান হাসপাতালে। সে দিনও অরুণ সামান্য কথা বলতে পারছিলেন। চিকিৎসকের কথায়, “দিন যত যাচ্ছে ততই অবস্থা খারাপ হচ্ছে অরুণদার। ফুসফুসের সংক্রমণ আরও বেড়েছে। কোনও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই আর সে ভাবে কাজ করছে না। সংজ্ঞা নেই তাঁর।”
কিঞ্জল বিনোদন দুনিয়ায় এসেছেন অরুণের হাত ধরেই। তাঁর ‘৮/১২’ ছবিতে বিপ্লবী ‘বিনয় বসু’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চিকিৎসক-অভিনেতা। সেই কৃতজ্ঞতা থেকেই কি আরজি করে অরুণের চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন? চিকিৎসকের দাবি, “অর্থনৈতিক পরিস্থিতি একটা কারণ তো বটেই। নিজে উপস্থিত থেকে অরুণদার দেখভাল করার চেষ্টা করব, সেটাও অন্যতম কারণ।”
হঠাৎ কী করে এতটা অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি? কিঞ্জল জানান, ক্যানসার এমনিতেই শারীরিক সক্ষমতা কমিয়ে দেয়। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা প্রায় তলানিতে ঠেকে। এই পরিস্থিতিতে ফুসফুসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে পরিচালকের শরীরে।
চিকিৎসকের কণ্ঠে আফসোস, “বরাবর ব্যতিক্রমী ছবি বানানোর চেষ্টা করেছেন অরুণদা। ওঁর জন্যই তো ছায়াছবির জনক ‘হীরালাল সেন’কে চিনেছি। ‘চোলাই’ তাঁর আরও একটি ভাল কাজ। ইন্ডাস্ট্রি ওঁর মতো প্রতিভাকে সঠিক ব্যবহার করতে পারল না।”