দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত।
বাণিজ্যিক দিক থেকে যশরাজ ফিল্মসের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ‘ধুম’। ২০০৪ সালে ‘ধুম’ ও ২০০৬ সালে ‘ধুম ২’ ছবি মুক্তির বছর সাতেক পরে ২০১৩ সালে মুক্তি পায় ‘ধুম ৩’। ‘ধুম’-এ জন আব্রাহাম এবং ‘ধুম ২’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন হৃতিক রোশন ও ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। সঙ্গে অভিষেক বচ্চন ও উদয় চোপড়া তো ছিলেনই। ‘ধুম ৩’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান। ওই ছবিতে আমিরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ক্যাটরিনা কইফ। তবে ছবির নায়িকা হিসাবে প্রযোজকদের প্রাথমিক পছন্দ নাকি ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। সব কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও ছবি হাতছাড়া হয়েছিল দীপিকার। তার নেপথ্যে ছিলেন কে?
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিয়ো, যাতে নিজের অভিনয়জীবনের সেই পর্ব নিয়ে কথা বলেছেন দীপিকা নিজে। দীপিকা বলেন, ‘‘আমার মনে হয়েছিল, ওই সময়ে ওই ছবিটা আমার কেরিয়ারকে অন্য মাত্রা এনে দিতে পারত। আমি প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, আমিই ছবিতে কাজ করব। তবে ছবির অভিনেতার সঙ্গে তাঁদের কথা বলতে হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম যে, আমিই করব ছবিটা। তার পর হঠাৎ করে সব বদলে গেল। জানতে পারলাম, আমি ছবি থেকে বাদ পড়েছি।’’ দীপিকার এই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটাগরিকদের দাবি, ‘ধুম ৩’ ছবির কথাই বলছেন দীপিকা। কারণ দীপিকা ওই ভিডিয়োতেই জানান যে, ওই ছবি হাতছাড়া হওয়ার পরে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-তে কাজ করেছিলেন তিনি। বলিপাড়ার অন্দরে গুঞ্জন, আমিরের পছন্দ অনুযায়ীই নাকি দীপিকাকে ছেড়ে ক্যাটরিনাকে ছবিতে নিয়েছিলেন ছবির প্রযোজকরা।
২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’। একই বছর মুক্তি পায় ‘ধুম ৩’ ছবিটিও। তবে ‘ধুম ৩’ হাতছাড়া হওয়ার পরে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে অভিনয় করে ক্ষতি তো হয়ইনি, বরং লাভই হয়েছিল দীপিকার। অয়ন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে রণবীর কপূরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন দীপিকা। দীপিকা বলেন, ‘‘আমি যে ওই ছবিটা করতে পারিনি, তাতে আমার কোনও আফসোস নেই। কারণ আমি বিশ্বাস করি, নিয়তির ইচ্ছাতেই আমার কাছে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-র প্রস্তাব এসেছিল। ওই ছবিটা করে আমি খুব খুশিও হয়েছিলাম।’’