২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বইতে নিজের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেন জিয়া খান। তার আগে আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় দশ বছরের অপেক্ষা। অবশেষে বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করতে চলেছে আদালত। বিশেষ সিবিআই আদালত এই মামলায় রায় জানাবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সিবিআই-এর বিচারক এএস সইদ দু’পক্ষের অভিযোগ এবং পাল্টা প্রশ্ন শুনেছেন। তিনি আগামী ২৮ এপ্রিল এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বইতে নিজের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেন জিয়া খান। তার আগে আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। ২০১২ সাল থেকে একসঙ্গে থাকতেন তাঁরা। জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর মা রাবিয়া খান জানান, সূরজের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন জিয়াকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হত। সূরজ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন রাবিয়া খান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ২০১৪ সাল থেকে জিয়া খানের আত্মহত্যা মামলায় অভিযুক্ত আদিত্য পাঞ্চোলি। যদিও রাবিয়া খানের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাঞ্চোলি পরিবার। এখনও আদালতে ঝুলে মামলার রায়। পাঞ্চোলি পরিবারের আশা, সত্যের পক্ষেই রায় দেবে মহামান্য আদালত, এবং তাঁরা বেকসুর খালাস পাবেন।
এই মুহূর্তে সূরজ জামিনে মুক্ত। তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত পাটিলের কথায়, ‘‘আমার মক্কেল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেননি। আশা করি, মহামান্য আদালতের কাছে তিনি সুবিচার পাবেন।’’