(বাঁ দিকে) তৃষা কৃষ্ণন। মনসুর আলি খান (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণী অভিনেত্রী তৃষা কৃষ্ণনকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বিপাকে দক্ষিণী অভিনেতা মনসুর আলি খান। তৃষার উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আগেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল এফআইআর। এ বার চেন্নাই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে দক্ষিণী অভিনেতা। খবর, আরও বিপদ বাড়ার আঁচ করে আগেভাগেই আদালতে আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন মনসুর। সেই আর্জিও নাকি খারিজ হয়েছে। খবর, মহিলা সহকর্মীর উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করার পরে আগাম জামিন চেয়ে আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য ভর্ৎসিতও হতে হয়েছে তাঁকে।
সম্প্রতি লোকেশ কনগরাজ পরিচালিত ‘লিও’ ছবিতে দক্ষিণী তারকা থলপতি বিজয়ের বিপরীতে দেখা গিয়েছে তৃষাকে। একই ছবিতে অভিনয় করেছেন মনসুরও। যদিও তৃষার সঙ্গে কোনও দৃশ্যে দেখা যায়নি অভিনেতাকে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে মনসুর বলেন, ‘‘আগের সব ছবিতে আমি নায়িকাদের তুলে বিছানায় নিয়ে যেতাম। আমি ভেবেছিলাম, তৃষার সঙ্গেও এমন কোনও একটা দৃশ্যে অভিনয় করার সুযোগ পাব।’’ মনসুরের এই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়ার পরেই ওঠে নিন্দার ঝড়। ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মনসুরের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার আর্জি জানিয়ে সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করে জাতীয় মহিলা কমিশন। মহিলা কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১ নভেম্বর তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে তামিলনাড়ু পুলিশ। মনসুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ ও ৫০৯ ধারায় দায়ের করা হয় এফআইআর।
এর পরেও নিজ অবস্থানে অনড় দক্ষিণী অভিনেতা। সমাজমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর মনসুর জানিয়েছিলেন, তিনি নাকি মজার ছলে তৃষাকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেছিলেন। এখনও নিজের সেই জায়গা থেকে সরে অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি নন তিনি। মনসুরের কথায়, ‘‘আমি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি। যদি কোনও একটা ছবিতে ধর্ষণের দৃশ্য থাকে আর আমি তাতে অভিনয় করি, তার মানে কি আমি সত্যিই সেই নায়িকাকে ধর্ষণ করছি? তা হলে ছবিতে খুনের দৃশ্যে থাকলে কী হবে? তার মানে কি সত্যিই কাউকে খুন করা হচ্ছে? আমি কেন ক্ষমা চাইব! আমি তো কোনও কিছু ভুল বলিনি।’’