‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবির দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় এক যুগ আগে বলিউডে অভিনেতা হিসাবে তাঁদের আত্মপ্রকাশ। ২০১২ সালে মুক্তি পায় কর্ণ জোহর প্রযোজিত ছবি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’। সেই ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসাবে হাতেখড়ি হয় সিদ্ধার্থ মলহোত্র ও বরুণ ধওয়ানের। একই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিনেত্রী হিসাবে অভিষেক হয় মহেশ ভট্টের মেয়ে আলিয়া ভট্টেরও। ছবিমুক্তির এক দশক পরে বলিউডের তারকা অভিনেত্রীদের তালিকায় একদম প্রথমের দিকে নাম আলিয়ার। এখন তাঁর সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে থাকেন বলিপাড়ার নামজাদা অভিনেতা ও তারকারা। এ দিকে, কেরিয়ারের প্রথম ছবিতে নাকি তাঁর সঙ্গে কাজই করতে চাননি সিদ্ধার্থ ও বরুণ! কেন জানেন?
‘কফি উইথ কর্ণ’-এর অষ্টম সিজ়নের সাম্প্রতিক পর্বে কর্ণের কফি আড্ডায় অতিথি হিসাবে এসেছিলেন সিদ্ধার্থ ও বরুণ। ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’-এর তৃতীয় ‘স্টুডেন্ট’ আলিয়া সেই পর্বে উপস্থিত না থাকলেও নিজের দুই সহকর্মী ও বন্ধুর জন্য ভিডিয়োবার্তা পাঠিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ওই পর্বেই কর্ণ জানান, আলিয়ার সঙ্গে নাকি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবিতে কাজই করতে চাননি সিড ও বরুণ। কর্ণ বলেন, ‘‘আমার মনে আছে, আলিয়া সেটে আসামাত্রই সিড আর বরুণ আমাকে মেসেজ করে বলেছিল ওকে ছবিতে কাস্ট না করার কথা। এক জনের যুক্তি ছিল, আলিয়া নাকি বয়সে খুবই ছোট। ফোটোশুটের সময়েও আলিয়া চুপ করে দাঁড়িয়েছিল। কারণ, ও জানত যে সিড আর বরুণ আমাকে আগে থেকে চেনে। আর আলিয়া সেই সময় আমাকে একেবারেই চিনত না। তবে আমি ওর প্রথম শট দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম!’’
সিড ও বরুণ আলিয়ার সঙ্গে কাজ করতে চাননি বটে। তবে আলিয়াও কম যান না। বরুণের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে তাঁকে দাম্ভিক বলে মনে হয়েছিল অভিনেত্রীর। সিডকে নিয়ে যদিও নালিশ করেননি তিনি। আলিয়ার মতে, সিড বেশির ভাগ সময়ই নিজের মতো থাকতেন। প্রাথমিক ভাবে একে অপরকে তেমন পছন্দ না করলেও এক দশক পরে একে অপরের ভাল বন্ধু আলিয়া ও বরুণ। ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’-এর পরে সিডের সঙ্গে বেশ কিছু বছর প্রেমও করেছিলেন আলিয়া। সেই প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানলেও এখনও বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন তাঁরা।