কঙ্গনা
ভাইরাসের সংক্রমণ এবং অতিমারির কারণে বিশ্বজুড়ে প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই ক্ষয়ক্ষতি অব্যাহত। পিছিয়ে নেই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিও। বহু ছবির মুক্তি পিছিয়েছে, অনেক প্রজেক্ট অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত। এর মাঝে যে ছবিগুলোর কাজ শুরু হয়েছিল, সেগুলোতেও লেগেছে লোকসানের ধাক্কা। কঙ্গনা রানাউত অভিনীত জয়ললিতার বায়োপিক ‘থালাইভি’র শুটিংয়ের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করে চেন্নাই এবং হায়দরাবাদে দু’টি বড় সেট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে গত ছ’সপ্তাহ ধরে ‘থালাইভি’র শুটিং বন্ধ। ফলে ক্ষতির অঙ্কটা ছুঁয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, অনিশ্চয়তার পরিস্থিতিতে লকডাউন আরও বাড়লে ক্ষতির অঙ্কটাও চড়চড় করে বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন ছবির নির্মাতারা।
এমনিতেই লকডাউন উঠলেও পরিস্থিতি কবে ফের স্বাভাবিক হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তার মধ্যে বর্ষা পুরোপুরি জাঁকিয়ে বসলে সেট দু’টি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ছবির প্রযোজক শৈলেশ আর সিংহ বলছেন, ‘‘ছবিতে আউটডোরের অনেক কাজ রয়েছে। বর্ষা শুরু হওয়ার আগে যে ভাবেই হোক, শুটিং শেষ করতে হবে। একবার সেট জলে ভিজে নষ্ট হয়ে গেলে, সেগুলো আবার বানানোর খরচ বিপুল। পাশাপাশি আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে টিমের সদস্যদের নিরাপত্তার কথাও। লকডাউন উঠলে অন্তত দিন দশেক সময় যদি হাতে পাওয়া যায়, তার মধ্যেই শেষ করে ফেলতে হবে ছবির আউটডোরের শুটিং।’’ সিনেমা তৈরির আগেই ক্ষতির অঙ্ক বাড়ছে।
সম্প্রতি সঞ্জয় লীলা ভন্সালীও বাড়তে থাকা ক্ষতির অঙ্ক কমাতে তাঁর ছবি ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’র সেট ভেঙে ফেলার কথা বলেন। ফলে করোনাভাইরাসের জেরে সিনেমা ব্যবসাও যে প্রতি পদে ধাক্কা খাচ্ছে, সে দৃশ্য স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: সুস্থ হতেই কণিকার বাড়িতে নোটিস পাঠাল পুলিশ