দীপিকা এবং কঙ্গনা।
রাতারাতি পাশে এসে জুড়েছিল বিতর্কিত ছবির তকমা। তার আঁচ এসে পড়েছিল বক্স অফিসেও। তা সত্ত্বেও মেঘনা গুলজার পরিচালিত দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘ছপাক’-এর বক্স অফিসে প্রথম দিনের রোজগার ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা। কঙ্গনা রানাউতের ছবি ‘পঙ্গা’ মুক্তি পেয়েছে গত কাল। কঙ্গনা মানেই একটু অন্য ধাঁচের ছবি… তাই প্রত্যশাও ছিল ফ্যানেদের। কঙ্গনার অভিনয় মনে দাগ কাটলেও বক্সঅফিসের অঙ্কে শুরুটা মোটেও ভাল হল না ‘পঙ্গা’-র। প্রথম দিনে ওই ছবির আয় ছপাকের প্রথম দিনের আয়ের প্রায় অর্ধেক।
কত আয় করল ‘পঙ্গা’? ট্রেড অ্যানালিস্টরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত পঙ্গার আয় ২ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। অন্য দিকে, কাল মুক্তি পাওয়া আর এক ছবি ‘স্ট্রিট ডান্সার’ কিন্তু তুলনামূলক ভাবে ভাল ব্যবসা করেছে। বরুণ-শ্রদ্ধা অভিনীত ওই ছবির প্রথম দিনের পর আয় ১০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা।
বেশ কিছু দিন ধরেই ‘পঙ্গা’ এবং ‘ছপাক’ নিয়ে তুলনা চলছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ।
আরও পড়ুন-বিয়ে করলেন ক্যাটরিনা? কন্যাদানে স্বয়ং অমিতাভ!
· দু’টি ছবিই নারীকেন্দ্রিক। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের গল্প শুনিয়েছিল ‘ছপাক’। অন্য দিকে ‘পঙ্গা’ও এক কবাডি খেলোয়াড়ের হার-জিতের গল্প বলে।
· দুই পরিবারের প্রধান চরিত্রই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা দুই মেয়ে। অস্তিত্ব প্রমাণের তাগিদে যারা মুখোমুখি হয় চ্যালেঞ্জের।
· দুই ছবিতেই তথাকথিত হিরো নেই। কঙ্গনা এবং দীপিকাই নিয়েছেন হিরোর জায়গা।
· ‘পঙ্গা’ এবং ‘ছপাক’-এর পরিচালক মহিলা। ‘পঙ্গা-র পরিচালক অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি, অন্য দিকে ‘ছপাক’-এর পরিচালক মেঘনা গুলজার।
আরও পড়ুন-‘দীপিকার পোশাক পরে চলে এসেছ?’ লুজ প্যান্ট পরে চরম ট্রোলের শিকার রণবীর
এখানেই শেষ নয়, দীপিকা পাড়ুকোনের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে যখন গোটা সোশ্যাল মিডিয়া দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল তখন দীপিকার পাশে নামজাদা কিছু বলি তারকা দাঁড়ালেও দীপিকার উল্টো সুরেই কথা বলেছিলেন বলি টাউনের ‘কুইন’।
আরও পড়ুন-‘গৃহশিক্ষক অশালীন ভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করতেন’, দুঃসহ স্মৃতি শেয়ার করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী
তিনি বলেছিলেন, “জেএনইউ-তে দীপিকার যাওয়া একেবারেই ওর গণতান্ত্রিক অধিকার। ও খুব ভাল করেই জানে, কী করছে, কেন করছে... সে বিষয়ে আমার কোনও মতামত থাকা উচিত নয়। আমি ওকে বলতেও পারি না যে ওর কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়।” কিন্তু তিনি হলে কী করতেন? এই প্রশ্নে কঙ্গনার জবাব ছিল, “আমি অবশ্যই যেতাম না। দাঁড়াতাম না ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’য়ের পাশে। যারা দেশভাগ করতে চায়, তাদের প্রতি আমার কোনও সহানুভূতি নেই। সেনাকর্মীরা মারা গেলে যারা উৎসব করে, তাদের কখনওই আমি ক্ষমতায় আনতে চাই না।”
বলি-পাড়ার একটা অংশের মত ছিল, কঙ্গনা আসলে বিজেপির সুরেই কথা বলছেন। যাই হোক, প্রথম দিনে ‘ছপাক’-এর থেকে পিছিয়ে থাকলেও সপ্তাহান্তে ‘পঙ্গা’র আয় কী দাঁড়াবে? তা দেখতে আপাতত মুখিয়ে নেটিজেনদের একাংশ।