মা হয়েছেন নুসরত জাহান। পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও তাঁর ছেলের পিতৃপরিচয় রয়েছে আড়ালেই। অনেকের অনুমান, ছেলেকে একাই বড় করে তুলবেন নুসরত। অর্থাৎ ‘সিঙ্গল মাদার’ হতে চলেছেন তিনি। নুসরত যদি তাই করেন, তবে তিনি প্রথম নন, বিনোদন জগতের অনেকেই একা বড় করেছেন সন্তানকে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।
সুস্মিতা সেন: ১৯৯৪ সালে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জিতেছিলেন সুস্মিতা। কেরিয়ারে শীর্ষে থাকার সময় মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ২০০০ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে মেয়ে রেনেকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। তার ১০ বছর পর মেয়ে আলিশাকে দত্তক নিয়েছেন সুস্মিতা। এখনও পর্যন্ত বিয়ে করেননি তিনি। সুস্মিতা মনে করেন, তিনি একাই তাঁর সন্তানদের মা এবং বাবার ভালবাসা দিতে পারবেন।
একতা কপূর: ২০১৯ সালে একতা কপূর সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়েছিলেন। বিয়ে না করেও পুত্র সন্তানের মা হয়েছিলেন তিনি। মেয়ের নাম রেখেছেন রাভী।
তুষার কপূর: একতার আগেই ভাই তুষার কপূর সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হয়েছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ছেলে লক্ষ্যকে একাই সামলাচ্ছেন জিতেন্দ্র-পুত্র।
সাক্ষী তনওয়ার: তিনি পরিচিত ‘কহানি ঘর ঘর কী’-র পার্বতী হিসেবে। ২০১৬ সালে আমিরের বিপরীতে ‘দঙ্গল’ ছবিতেও অভিনয় করেন সাক্ষী। ২০১৮ সালে একটি কন্যা সন্তানকে দত্তক নেন তিনি। তার নাম রাখেন দিত্যা।
ইলিনা বণিক: নাম করা চিত্রশিল্পী তিনি। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে কন্যা সন্তানের মা হন ইলিনা।
অনিন্দিতা সর্বাধিকারী: ইলিনার মতো পরিচালক অনিন্দিতাও ৩৯ বছরে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানের মা হয়েছিলেন।
নীনা গুপ্ত: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নীনা। বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভিভ আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। ফলত নীনাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারেননি তিনি। কিন্তু নীনা জন্ম দিয়েছিলেন মাসাবাকে। একাই তাঁকে বড় করে তোলেন নীনা। বর্তমানে মাসাবা বলিউডের খ্যাতনামী পোশাক শিল্পী।
অমৃতা সিংহ: সইফ আলি খানের প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংহ একা বড় করে তোলেন তাঁদের দুই সন্তান সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খানকে। ২০০৪ সালে যখন সইফের সঙ্গে অমৃতার বিচ্ছেদ হয় সারার বয়স তখন মাত্র নয়। ইব্রাহিম তখন তিন। সইফের থেকে আলাদা হয়ে নিজের মতো করে সারা এবং ইব্রাহিমকে মানুষ করেন তিনি।
কর্ণ জোহর: ২০১৭ সালে যমজ ভাই-বোনকে দত্তক নিয়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজক। তাদের নাম রেখেছেন যশ এবং রুহি। মা হীরু জোহরের সহায়তায় সন্তানদের বড় করছেন তিনি।