চলচ্চিত্র উৎসব থেকে বাদ পড়ল ‘ডিকশনারি’।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরেও আন্তর্জাতিক গোয়া চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১-এর ভারতীয় প্যানোরামা বিভাগ থেকে বাদ পড়ল ব্রাত্য বসুর ‘ডিকশনারি’। ৫ নভেম্বর কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৫২তম চলচ্চিত্র উৎসবের মোট ২৫টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবির তালিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিল ব্রাত্য পরিচালিত ছবিটি। পরদিন, ৬ নভেম্বর ফের সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ২৫ নয়, ২৪টি ছবি দেখানো হবে। তালিকা থেকে বাদ যায় ‘ডিকশনারি’। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পরিচালক ব্রাত্য এবং প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান।
বৈঠকে ব্রাত্য জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে মেল পাঠিয়ে তাঁকে জানানো হয়, ডিকশনারি দেখানো যাবে না। পরিবর্তে অন্য ছবি পাঠাতে হবে। সেই সুযোগ না থাকায় উৎসব থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁর ছবি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, তাঁর নামের বানানে ভুল ছিল। এই অজুহাতে বাদ পড়েছে তাঁর ছবি।
বুদ্ধদেব গুহ-র দু’টি ছোট গল্প ‘স্বামী হওয়ার পরে’ এবং ‘বাবা হওয়ার পরে’ নিয়ে তৈরি ‘ডিকশনারি’। বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করেছেন নামীদামি অভিনেতারা। সূত্রের খবর, তবুও ছবিটি নিয়ে সমালোচকেরা সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই প্যানোরামা বিভাগে ‘ডিকশনারি’ জায়গা করে নেওয়ার পরে চর্চা চলছিলই। আচমকা পট পরিবর্তন। ফের আলোচনার কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে ছবিটি। রাজনৈতিক মহলে দাবি উঠেছে, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের বলি ব্রাত্যর ছবি। উপরন্তু এই ছবিতে অভিনয় করেছেন নুসরত জাহান। শাসকদলের সাংসদ। ব্রাত্য নিজেও অভিনয় করেছেন ছবিতে। সব মিলিয়েই সম্ভবত এই ধাক্কা। রাজ্যকে ‘শিক্ষা’ দিতেই শিক্ষামন্ত্রীর ছবিতে কেন্দ্রের কোপ। এমনটাই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
এ বিষয়ে পরিচালকের আরও বক্তব্য— কেন্দ্র-রাজ্য টানাপড়েন যতই থাকুক, এ ভাবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে দূরে রাখা যাবে না। উৎসব থেকে ছবি বাদ দিয়েও নয়। বরং এই ঘটনা কেন্দ্রের প্রতি তাঁর বিরোধিতা আরও বাড়িয়ে দিল।