অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন।
করোনা কাটিয়ে উঠে এ বার কাজে ফেরার পালা। পিতা-পুত্র দু’জনেই একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হন জুলাই মাসে, সেরেও ওঠেন কয়েক দিনের ব্যবধানে। এ বার একসঙ্গে কাজেও ফিরছেন অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। সেপ্টেম্বর মাসে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র শুটিং শুরু করবেন অমিতাভ। লকডাউনের মাঝেও মে মাসে তিনি ‘কেবিসি’-র জন্য এক দিন কাজ করেছিলেন। সে সময়ে নেটিজ়েনরা প্রশ্ন তুললে, তার উত্তরও দেন অমিতাভ। তাঁর ব্লগে লেখেন,‘‘কাজ করা নিয়ে আপনাদের সমস্যা থাকলে, তা নিজেদের কাছেই রাখুন। যথাসম্ভব সুরক্ষার সঙ্গেই কাজ শেষ করা হয়েছে। দু’দিনের শিডিউল এক দিনে শেষ করেছি।’’ এ বার ‘কেবিসি’-র প্রোমো শুট করবেন অমিতাভ। তার জন্যও সেটে যথাসম্ভব স্যানিটাইজ়েশন ও সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে বলেই জানালেন তাঁর ব্লগে। এত দিন মহারাষ্ট্র সরকার ৬৫ বছরেরর ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁদের শুটের উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। ফলে শুটে ফেরা নিয়ে ছিল সংশয়। কিন্তু সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্টের রায়ে সেই নিষেধও আর নেই। সুতরাং তাঁর কাজে ফিরতে আর বাধা নেই।
অন্য দিকে অভিষেক বচ্চনও তাঁর পরবর্তী ছবি ‘দ্য বিগ বুল’-এর শুটিং শুরু করবেন দিনকয়েকের মধ্যে। স্টকব্রোকার হর্ষদ মেহতার চরিত্রে দেখা যাবে অভিষেককে। ১৮ অগস্ট ছবির একটি পোস্টারও রিলিজ় করা হয়। রিমোট শুটের মাধ্যমে ছবির প্যাচওয়র্ক করা যায় কি না, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই ছবির প্রযোজক অজয় দেবগণের সঙ্গেও কথা চলছে। অজয় দেবগণ ফিল্মস প্রযোজনা সংস্থার তরফে ড্যানিশ গাঁধী সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, অভিষেক ও বাকি অভিনেতাদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত সেট আপ তৈরি করাই তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য। শুটের অনুমতি পেলেই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুটিং শুরু করা হবে। তবে খুব কমসংখ্যক ক্রু নিয়ে কাজ করা হবে। রিমোট শুটিং মেথড নিয়ে কথা চলছে ঠিকই। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব না হলে সেটের কাছেই হোটেলের ব্যবস্থা রাখা হবে। এতে শুটের পরে অভিনেতারা সেখানেই কোয়রান্টিনে থাকতে পারবেন। ছবির শুটিং ছাড়াও অভিনেতা এবং ক্রু-মেম্বারদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে অজয়ও চিন্তাভাবনা করছেন।