নাচ-গানের ছন্দে মাতিয়ে রেখলেন রূপম ইসলাম এবং সায়ন্তনী। মধ্যমণি-প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার, দুবাইয়ের নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহের শেষ। ছুটির আমেজ চারিদিকে। তার মধ্যে হাল্কা বৃষ্টিও হয়েছিল এদিক-ওদিক। যদিও তাতে থোড়াই কেয়ার দুবাইয়ের বাঙালিদের। বঙ্গ প্রবাসী মিলাপ-এর দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ দিনেও ভিড় উপচে পড়ল এমিরেটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অডিটোরিয়ামে। প্রবাসী বাঙালিদের বাংলা গানের সুরে মাতাতে কলকাতা থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন রুপম ইসলাম, অঞ্জন দত্ত, নীল দত্ত, অমিত দত্তেরা। আরব সাগরের তীরের বাণিজ্যনগরী মুম্বই থেকে এসেছিলেন সায়ন্তনী ঘোষ, র্যাচেল হোয়াইট, এবং রিচা শর্মা।
এ দিনও সেন্ট জেভিয়ার্স অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশন দুবাই চ্যাপ্টার ও কলকাতা চ্যাপ্টার এর প্রধান উদ্যোক্তা সপ্তর্ষি দত্ত কল্যাণ ভট্টাচার্য্য এবং ডি ম্যাক্স এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার পল্লবী চট্টোপাধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সংবর্ধনা জানানো হয় তাঁদেরও। অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই।প্রবাসীদের মন তখন ফেলে আসা নস্টালজিয়ায় উদ্বেল। সায়ন্তনীর নাচ, রূপম-অঞ্জনের গান—সব মিলিয়ে অনুষ্ঠান এক্কেবারে জমজমাট। বৃষ্টিতেও প্রেক্ষাগৃহ কানায় কানায় পরিপূর্ণ। এত দিন পরে দেশের শিল্পীদের লাইভ দেখার সুযোগ পেয়েছেন দুবাইয়ের বাঙালিরা...এ সুযোগ কি মিস করা যায়?
রাত ১০টায় অঞ্জন দত্ত যখন মঞ্চে এলেন গোটা প্রেক্ষাগৃহ তখনও ভর্তি। শুধু তাই নয়, সায়ন্তনীও নাচের ছন্দে মাতিয়ে রাখলেন দর্শকমহলকে। রবীন্দ্রনাথ থেকে গৌতম চট্টোপাধ্যায়...রূপমের মেডলিতে স্থান পেল সবার গানই।
আরও পড়ুন-উচ্চতা, মুখশ্রী নিয়ে ‘ঠাট্টা-তামাশা’, নেহার কাছে ক্ষমা চাইলেন কমেডিয়ান গৌরব
আরও পড়ুন-মধুচন্দ্রিমায় কোথায় পাড়ি দিলেন সৃজিত-মিথিলা?
বাঁ দিক থেকে অমিত দত্ত, অঞ্জন দত্ত এবং নীল দত্ত। নিজস্ব চিত্র।
ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পোশাকেও দেখা গেল খাঁটি বাঙালিয়ানা। ধুতি-পাঞ্জাবি এবং ডিজাইনার জ্যাকেটে ‘বুম্বাদা’কে দেখে আবেগে ভাসলেন গোটা হল। প্রথম দিনের মতোই গোটা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়।