এক অভিনেতা রাজি না হওয়ায় অন্য এক জন কাজ করেছেন এবং সেই চরিত্র সুপারহিট হয়েছে, এমন উদাহরণ কম নেই। আবার এমনও নায়ক-নায়িকা আছেন, শুধুমাত্র বিপুল পারিশ্রমিক চাওয়ায় যাঁদের হাত থেকে সুপারহিট ফিল্ম ফস্কে গিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক তেমনই কয়েক জন তারকা ও তাঁদের ফস্কে যাওয়া ফিল্মগুলিকে।
সোনাক্ষী সিনহার প্রথম ছবি ছিল দবং। চুলবুল পাণ্ডে ওরফে সলমন খানের বিপরীতে প্রথম ছবিতেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন সোনাক্ষী। তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং অভিনয় দেখে 'কিক' ছবির পরিচালক তাঁকে এই ছবিতে নায়িকা হওয়ার অফার দেন।
কিন্তু প্রথম ছবিই হিট হওয়ায় সোনাক্ষী তাঁর পারিশ্রমিক অনেকটাই বাড়িয়ে ফেলেছিলেন। তাই পরিচালক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা সোনাক্ষীর পরিবর্তে ছবিতে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে নেন। ছবিটা বক্স অফিসে হিট করে।
প্রচুর হিট ফিল্ম রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তিনি বলিউড বেবো। কিন্তু জানেন কি তাঁর হিট ফিল্মের তালিকা থেকে একটা ফিল্ম কম?
করিনা কপূর যদি অহেতুক জেদ ধরে বসে না থাকতেন, তাহলে ফিল্ম 'কল হো না হো'-তে দর্শক প্রীতি জিন্টার বদলে তাঁকে দেখতে পেতেন। করিনার জেদ ছিল, ফিল্মে শাহরুখ খানের সমান পারিশ্রমিক তাঁর চাই।
পারিশ্রমিকের জন্য ফিল্ম প্রত্যাখান করে সবচেয়ে বেশি আফশোস বোধহয় করেছিলেন শ্রীদেবী। দক্ষিণী পরিচালক রাজামৌলীর সুপার ডুপার হিট ফিল্ম ‘বাহুবলী’র অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
‘বাহুবলী’র রাজমাতা শিবগামী দেবির চরিত্রে প্রথমে শ্রীদেবীকেই ভেবেছিলেন পরিচালক। কিন্তু শ্রীদেবী ৬ কোটি টাকা চান। বিনিময়ে রামাইয়া কৃষ্ণ মাত্র আড়াই কোটি টাকায় ছবির অফার গ্রহণ করেন।
‘জলি এলএলবি ২’ ফিল্মের মুখ্য ভূমিকায় নওয়াজউদ্দিনকে ভেবেছিলেন পরিচালক। কিন্তু বড় পারিশ্রমিক চেয়ে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন নওয়াজ।
জানা যায়, নওয়াজ এই ফিল্মের জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা চেয়েছিলেন। বাজেট টপকে যায় নওয়াজের চাহিদা। ফিল্মটা ১ কোটি টাকায় করতে রাজি হন অক্ষয় কুমার।
সঞ্জয়লীলা ভন্সালীর বিতর্কিত এবং সুপার হিট ছবি ‘পদ্মাবত’-এর জন্য প্রথম অফার গিয়েছিল শাহরুখ খানের কাছে। কিন্তু শাহরুখ এই ছবির জন্য কত টাকা চেয়েছিলেন জানেন?
৯০ কোটি টাকা! পরিচালক সঞ্জয়লীলার কাছে এই পারিশ্রমিক দেওয়া সম্ভব ছিল না। শাহরুখও নাছোড়বান্দা ছিলেন। ফলে এই হিট ফিল্মের সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি।
‘ফ্যানি খান’ ছবিতে অভিনয় করেছেন ঐশ্বর্যা রাই, অনিল কপূর, রাজকুমার রাও। ঐশ্বর্যার বিপরীতে ছিলেন রাজকুমার।
মাধবন এই ছবির জন্য দেড় কোটি টাকা চেয়েছিলেন। প্রযোজকের পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই তাঁর বদলে রাজকুমারকে নেন তিনি।