কেদারনাথ ভ্রমণ নিয়ে কথা বললেন সারা আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
সময় পেলেই কেদারনাথ বেড়াতে চলে যান সারা আলি খান। মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়ে বেড়ান। ভিন্ধর্মের হয়েও কী ভাবে মন্দিরে পুজো দেন অভিনেত্রী, এই ধরনের প্রশ্ন তাঁর দিকেও একাধিক বার তোলা হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরও যুক্তি সহকারে দিয়েছেন সারা।
ধর্ম নয়। ছোট থেকেই নিজেকে 'ভারতীয়' বলতে শিখিয়েছেন সারার মা। ছোটবেলার একটি ঘটনাও জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “আমি খুবই ছোট ছিলাম তখন। স্কুলে পড়তাম। তখন বাবা-মা বিবাহিত ছিলেন। আমরা যখন বিদেশে যেতাম, বিমানবন্দরে গিয়ে একটা কথা ভাবতাম। অমৃতা সিংহ, সইফ পটৌডী, সারা সুলতানা, ইব্রাহিম আলি খান। এতগুলো নাম? আমরা তা হলে কে? এই প্রশ্নটাই আমি মাকে করেছিলাম।” এই প্রশ্নের উত্তরেই সারাকে অমৃতা বলেছিলেন, “তুমি সবার আগে একজন ভারতীয়।” মায়ের এই কথা আজও মনে রেখে দিয়েছেন সারা।
অমৃতা শিখ পরিবারের মেয়ে। অন্য দিকে সইফ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। বাবা-মায়ের ভিন্ধর্ম নিয়ে সারার বক্তব্য, “আমাদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ। ভেদাভেদের মতো বিষয়গুলি যাদের দ্বারা চালিত হয়, তাদের আমি মানি না। এদের আমি গুরুত্বই দিই না।” এক সময়ে ট্রোলিং-এ প্রভাবিত হলেও আজ আর মাথা ঘামান না তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, “অন্য কারও ভাবনাচিন্তা বদলাতে যাওয়া মূর্খামি ছাড়া আর কিছু নয়।”
সারার প্রথম ছবি ছিল ‘কেদারনাথ’। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তার পর থেকে প্রায় প্রতি বছরই কেদারনাথে বেড়াতে যান সারা আলি খান। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “আমি একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে কেদারনাথে যাই। আমার কেদারনাথ যাওয়া অন্যদের ভাল লাগবে না কি খারাপ লাগবে, তাতে কিছু বলারই নেই। এটা অন্যদের ভাবারই বিষয় নয়। আমি ওখানে গিয়ে শান্তি খুঁজে পাই।”