বোনের সঙ্গে তুলনা করা মোটেও পছন্দ নয় কৃতি শ্যাননের। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে প্রথম সারির দুই অভিনেত্রী, দুই বোন— এমন দৃষ্টান্ত বড় কম নয়। নূতন-তনুজা, থেকে কাজল-রানি বা করিশ্মা-করিনা তালিকা দীর্ঘ। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন কৃতি শ্যানন ও তাঁর বোন নুপূর শ্যানন। দুই বোনের মধ্যে কি একটা তুলনা চলে আসে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কৃতি নিশানা করেছেন তাঁর আত্মীয়স্বজনদেরও। অভিযোগ, কৃতি বলিউডে সাফল্য পাওয়ার পর নাকি আত্মীয় পরিজনেরাও দুই বোনের মধ্যে একটা বিভেদ সৃষ্টি করেন। সেটা মোটেও পছন্দ করেন না কৃতি।
২০১৪ সালে ‘হিরোপন্তি’ ছবি দিয়ে বলিউডে পথ চলা শুরু করেছিলেন কৃতি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘লুকাছুপি’, ‘বারেলি কি বরফি’, ‘মিমি’, ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’ প্রভৃতি ছবি। ইতিমধ্যেই বলিউডে প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে উচ্চারিত হয় তাঁর নাম। সম্প্রতি কৃতি ব্যস্ত তাঁর নতুন ছবি ‘দো পাত্তি’ নিয়ে। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসাতেও সমান মনোযোগী কৃতি। ইতিমধ্যেই খুলে ফেলেছেন নিজের পোশাক ও প্রসাধনী সংস্থা।
এই পরিস্থিতিতে রুপোলি দুনিয়ায় পা রেখেছেন তাঁর ছোট বোন নুপূর শ্যানন। দক্ষিণী ছবি ‘টাইগার নাগেশ্বর রাও’-এর পাশাপাশি ‘পপ কৌন’-এ তাঁর উপস্থিতি দর্শকের নজর কেড়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে দিদির সঙ্গে তুলনা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে উঠলে কৃতি বলেন, “এ সবের ফলে আমাদের নিজেদের অনুভূতিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। আমি যখন ছবির জগতে এসেছি, আমার বোন তখন খুবই ছোট। এমনকি মুম্বইয়ে থাকত না ওরা। তবু, আমাদের আত্মীয় পরিজনেরা আমাদের দু’জনের মধ্যে একটা ভাগাভাগি করতেন। আমার রাগ হত।”
কেমন ব্যবহার পেয়েছেন আত্মীয়দের থেকে? কৃতি বলেন, “কখনও কারও বাড়ি গেলে আমাদের সঙ্গে ভিন্ন ব্যবহার করা হত। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর ক্ষেত্রেও আমার আর নুপূরের সঙ্গে আলাদা ব্যবহার করা হত। আমার মনে হয় এটা খুবই অপরিণত মানসিকতার ফসল।”
বোনের কি এই সব বিষয় খারাপ লাগত? কৃতি বলেন, “আমার বোন হলেও নুপূর খুব শক্ত মনের মেয়ে। খুবই পরিণত। কোনও কিছু খারাপ লাগলেও ও কখনও মুখে প্রকাশ করে না। ও সব কিছু শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে পারে।”
এর আগে অবশ্য নুপূর নিজেও সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন দিদির সঙ্গে এই তুলনা তাঁর মোটেও পছন্দ নয়। নুপূর বলেন, “দিদি একটা জায়গায় প্রতিষ্ঠিত, বিশেষত ওঁর ছবি ‘মিমি’র পরে। আমাকে তো আগে সেই পর্যন্ত পৌঁছতে হবে।”