কাজল ও জয়া বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।
দ্রুত পর পর ছবিতে কাজ করার অভ্য়েস কখনওই ছিল না কাজলের। বাছাই করা চরিত্রে অভিনয় করে এসেছেন বরাবর। প্রশংসাও পেয়েছেন সেই মতো। কখনও মিষ্টি নায়িকা, কখনও আবার সাহসী চরিত্রে মেলে ধরেছেন নিজেকে। সব মিলিয়ে কাজলকে পছন্দ করেন, এমন দর্শকের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু ইদানীং তাঁর ভোল বদলে গিয়েছে। কথায় কথায় হারাচ্ছেন মেজাজ। পান থেকে চুন খসলেই চোখ বড় বড় করে বকুনি দিচ্ছেন সকলকে। এই দেখে অনেকে আবার বলছেন, তিনি নাকি পরবর্তী জয়া বচ্চন হয়ে ওঠার দৌড়ে নাম লিখিয়েছেন।
প্রতি বছর ধুমধাম করে মুম্বইয়ের মুখোপাধ্যায় বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। বিশেষ দায়িত্বে থাকেন কাজল। এ বারও তার অন্যথা হয়নি। কোমর বেঁধে বাড়ির পুজোর কাজ করেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু তাঁর মধ্যেই একাধিক বার চটে গিয়েছেন। কখনও ছবিশিকারিদের জমানো ভিড় দেখে ধমক দিয়েছেন। আবার কখনও ভোগ পরিবেশনের সময় অতিথি ছবি তুলতে গেলেও চোখ রাঙিয়েছেন কাজল। পুজোমণ্ডপে জুতো পরে ছবিশিকারিরা ঢুকে পড়লে কাজল বকুনি দিয়েছেন, “এখনই জুতো খুলে আসুন। এখানে পুজো হচ্ছে, ভুলে যাবেন না।”
এই সব দেখেই নেটাগরিকের প্রশ্ন ছিল, কাজল কি খুব রাগী? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তিনি মোটেই সব সময় রেগে থাকেন না। কোনও কোনও দিন মেজাজ খারাপ থাকে। দিনটাই হয়তো খারাপ যায়। তখন রাগ প্রকাশ করেন। তবে এই নিয়ে কোনও আফসোস নেই তাঁর। রাগ দেখে লোকে কী ভাবছে, তার জন্য নিজের আচরণে কোনও পরিবর্তন আনতে নারাজ কাজল।
কাজল মনে করেন, আজকাল সব কিছুই সমাজমাধ্যমে বিচার করা হয়। সাজানো নিখুঁত বিষয়গুলির জয়জয়কার করেন মানুষ। কিন্তু বাস্তব দেখলে তা তাঁরা গ্রহণ করতে পারেন না। কাজল জানান, সমাজমাধ্যমে তিনি ভণিতা করতে জানেন না। নিজে যেমন, তেমন ভাবেই ছবিশিকারিদের ক্যামেরার সামনে আসেন। স্বাভাবিক মানুষের মতো কোনও কোনও দিন তাঁরও মেজাজ ভাল থাকে না।
কাজলের কথায়, “হ্যাঁ আমি রেগে যাই। প্রত্যেকটা দিন তো এক রকমের হয় না। আমি এমনই। তারকা বলে ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য আমি নিজেকে বদলাতে পারব না। অন্য কেউ কেন বলে দেবে আমি কখন হাসব আর কখন রেগে যাব।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার মুক্তি পেল কাজলের ছবি ‘দো পত্তি’। এই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৃতি শ্যানন।