গুরুদ্বারে দেখা মিলল সূরজ পাঞ্চোলির। —ফাইল চিত্র।
অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়ার পরেই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে ছোটেন অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি। এ বার দিল্লির ‘বাংলা সাহেব’ গুরুদ্বারে পুজো দিতে গেলেন। গুরুদ্বারে ঝিলের সামনে প্রণাম করার ছবি নিজেই পোস্ট করলেন সূরজ। গত ১০ বছর ধরে আদালত আর বাড়ি করতে হয়েছে তাঁকে। অভিনেত্রী জিয়ার অকালমৃত্যুর জন্য আঙুল উঠেছিল নায়কের দিকেই। এত বছর পরে মিলল স্বস্তি। শুক্রবার তাঁকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি। সুখবর পেয়ে আলোকচিত্রীদের মিষ্টিমুখও করিয়েছেন।
দিল্লির গুরুদ্বারে অভিনেতাকে দেখা গেল নীল জিন্স এবং টিশার্টে। তাঁর এই ছবি দেখে অনেকে অনেক কিছু লিখেছেন। এক জন মন্তব্য করেছেন, “তুমি আমায় প্রতি দিন অনুপ্রাণিত করো।” এর আগে সিদ্ধিবিনায়কের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই মন্দিরে গিয়েও দর্শকের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। মন্দিরে প্রবেশের সময় সূরজকে তাঁর জুতো খুলে রেখে দেওয়ার কথা বলা হয়, অভিনেতা জুতো নিজের হাতে তুলে নেন এবং যথাস্থানে রাখেন। কিন্তু হাত না ধুয়েই তিনি আবার গণেশের ছবিটি ধরেন। ব্যস, তাতেই আপত্তি জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। কেউ লিখেছেন, ‘‘যে হাতে জুতো ধরলেন সেই হাতেই ঈশ্বরের ছবি ধরেছেন!’’ কেউ লিখেছেন, ‘‘আপনি হিন্দু ধর্মের অপমান করেছেন।’’ আবার কারও মতে, জুতো ছেড়ে হাত ধুয়ে নিলেই তো আর কোনও সমস্যা ছিল না।
জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় বেকসুর প্রমাণিত হওয়ার পর সূরজ বলেন, “দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক দশটি বছর আমি কাটিয়েছি। আমার সঙ্গে রাত জেগেছে আমার পরিবার। কিন্তু আজ আমি জিতেছি। শুধু তা-ই নয়, আত্মমর্যাদা এবং সম্মান ফিরে পেয়েছি। অনেক সাহস প্রয়োজন ছিল এই মুখটা নিয়ে আবার বিশ্বের সামনে দাঁড়ানোর। সেটা আমি পেরেছি।” এরই পাশাপাশি কাতর আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমায় কেউ এই দশটা বছর ফিরিয়ে দিতে পারবেন? তবে এক দিকে স্বস্তি যে আমার পরিবার রক্ষা পেয়েছে। শান্তির চেয়ে বড় আর কিছুই হতে পারে না।”