বলি ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু কর্মবলে নিজের ভীত মজবুত করা সহজ নয়। সঙ্গে ভাগ্যও দরকার। আর ভাল সুযোগ যদি দরজায় কড়া নেড়ে চলে যায় তা হলে কেরিয়ার শুরুর আগেই থমকে যেতে পারে। বলি ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে এমন অনেক কথা শোনা যায়।
কিন্তু এই সব তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছিলেন বিপাশা বসু। দুই বড় ব্যানারের ছবির অফার ফিরিয়ে দিয়েও তিনি সফল হয়েছেন। এমনকি স্টার কিডের সঙ্গে ডেবিউ করার অফারও ছেড়ে দিয়েছিলেন বিপাশা।
স্টার কিডের সঙ্গে ডেবিউয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ‘বহিরাগত’ এক লড়াকু অভিনেতার সঙ্গে জুটি বেঁধে ছবি করেছেন তিনি। কেরিয়ারে সফলও হয়েছেন নিজের কর্মবলে।
বিপাশাকে মডেলিংয়ে নিয়ে এসেছিলেন অর্জুল রামপালের প্রাক্তন স্ত্রী মেহর জেসিয়া। একটি হোটেলে বিপাশাকে প্রথম স্পট করেছিলেন মেহর। তাঁর পরামর্শেই বিপাশা নিজেকে মডেলিংয়ের জন্য গ্রুম করতে শুরু করেন।
মুম্বইয়ের এক মডেলিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন বিপাশা। প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারেননি, তবে অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছিলেন।
ওই প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন বিনোদ খন্না। বিপাশাকে পছন্দ হয়ে যায় তাঁর। সে সময় বিনোদও ছেলে অক্ষয়কে ডেবিউ করানোর কথা ভাবছিলেন।
ফিল্ম ‘হিমালয় পুত্র’-এর জন্য ছেলে অক্ষয়ের বিপরীতে নতুন চেহারার খোঁজেই ছিলেন তিনি। বিপাশাকে ওই ফিল্মের অফার দেন বিনোদ।
সুপারস্টারের ছেলের বিপরীতে অভিনয় করে কেরিয়ার শুরু করার সুবর্ণ সুযোগ হয়তো কেউই হাতছাড়া করতে চাইবেন না। কিন্তু বিপাশা ঠিক সেটাই করেছিলেন।
সে সময় বিপাশা পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। বিনোদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। এর পর বিপাশার দরজায় কড়া নেড়েছিল আরও বড় একটা সুযোগ।
অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে একটি ফিল্মের প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে। এই ফিল্মের জন্য বিপাশার কাছে স্বয়ং জয়া বচ্চন গিয়েছিলেন।
ফিল্মটি করতে রাজিও হয়ে যান বিপাশা। বিপাশা ভাল করেই জানতেন অমিতাভ বচ্চনের নাম জড়িয়ে রয়েছে এই ফিল্মে। কেরিয়ার শুরু করার জন্য এর থেকে ভাল সুযোগ আর মিলবে না।
কিন্তু কিছু কারণে ফিল্মের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে নাম বদলে ‘রিফিউজি’ নামে মুক্তি পায় ফিল্মটি। তাতে অভিষেকের সঙ্গে ডেবিউ করেন করিনা কপূর।
পরে এই ফিল্মে সুনীল শেট্টির বিপরীতে বিপাশাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হযেছিল কিন্তু বিপাশা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
অবশেষে ২০০১ সালে ‘আজনবি’ ফিল্মে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। এই ফিল্মে করিনা কপূর এবং ববি দেওলও ছিলেন।
এটি সুপারহিট ফিল্ম ছিল। দর্শকেরা ভীষণ পছন্দ করেছিলেন। স্টার কিডকে প্রত্যাখ্যান করে এ ভাবেই নন ফিল্মি অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তিনি।