‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবির একটি দৃশ্যে সলমন খান এবং ভাগশ্রী। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড হোক কিংবা টলিউড— সিনেমা জগতে তারকাদের পারিশ্রমিক নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। নায়ক এবং নায়িকাদের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজকের বৈষম্যকে কেন্দ্র করেও মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন অনেক অভিনেতাই। একটা সময় চল ছিল যে নায়িকাদের পারিশ্রমিক কখনও নায়কদের থেকে বেশি হবে না। তবে ইদানীং সেই প্রথা অবশ্য ভাঙছে। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে এমনটা বেশি শোনা যেত। কিন্তু সূরজ বরজাতিয়ার ছবির ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। তাঁর পরিচালিত ‘হম আপকে হ্যায় কওন’ ছবিতে নায়িকা মাধুরি দীক্ষিত বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন নায়ক সলমনের থেকে। শুধু তাই নয়, নায়কের প্রথম ছবির ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছিল। নায়কের প্রথম ছবি ছিল ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’। সেই ছবিতে নায়িকা হিসাবে দেখা গিয়েছিল ভাগ্যশ্রীকে। তাঁরও এটা প্রথম ছবিই ছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও নায়িকার তুলনায় কম পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন নায়ক।
প্রায় ৩০ বছর হয়ে গেল মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। এই সিনেমায় ‘সীমা’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পরভিন দস্তুর। তিনিই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এই ছবিতে সলমনের থেকে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। তাঁর দাবি, ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবির জন্য ভাগ্যশ্রী পেয়েছিলেন দেড় লক্ষ টাকা। সলমন পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার টাকা।
এর আগে এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সলমন বলেছিলেন, “আমার জীবনের প্রথম পারিশ্রমিক ছিল ৭৫ টাকা। তার পর যখন কোম্পাকোলার বিজ্ঞাপন করি তখন এক লাফে বেড়ে গিয়ে হয়েছিল ১৫০০ টাকা। এই প্রথম ছবির পারিশ্রমিক আগে বলা হয়েছিল ৩১ হাজার টাকা যা পরে বেড়ে গিয়ে হয়েছিল ৭৫হাজার টাকা।” এই ছবির পর যদিও নায়িকাকে আর তেমন ভাবে পর্দায় দেখেননি দর্শক। সলমনের ঝুলিতে রয়েছে একের পর এক ছবি।