সব্যসাচী চৌধুরী এবং স্বস্তিকা দত্ত।
কে হবে অদূর ভবিষ্যতের স্লট লিডার? ‘কি করে বলবো তোমায়’ নাকি ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’? সপ্তাহ তিনেক হতে চলল শুরু হয়েছে ‘কি করে বলবো তোমায়’। এরই মধ্যে চলতি সপ্তাহে এই ধারাবাহিকের রেটিং ৪.৯। আর ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর রেটিং ৫.৪।দুই ধারাবাহিকের মধ্যে তাহলে কি চলছে অদৃশ্য প্রতিযোগিতা?
‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকের বামাক্ষ্যাপা সব্যসাচী চৌধুরীর মতে, “আমাদের চ্যানেলের জিআরপি (গ্রস রেটিং পয়েন্ট) জি বাংলার থেকে কম। সেক্ষেত্রে একটা প্রেসার থাকেই যে কতজন দর্শক আমাদের ধারাবাহিক দেখছে। এখনও পর্যন্ত যে রেসপন্স পেয়েছি রাত দশটার শো হিসেবে যথেষ্ট ভাল, কিপিং ইন মাইন্ড যে শীতকালে একটু গ্রামের দিকে রাত দশটা মানে যথেষ্ট রাত। ‘কি করে বলবো তোমায়’ সবে লঞ্চ করেছে। ধীরে ধীরে নিশ্চয় রেটিং বাড়বে।”
‘কি করে বলবো তোমায়’ ধারাবাহিকের নায়িকা রাধিকার চরিত্রে আছেন স্বস্তিকা দত্ত। বললেন, “এখন সব কিছুই নির্ভর করছে অডিয়েন্সের ওপর। স্লট টপার নাকি স্লট লুজার... সব অডিয়েন্সের হাতে। সত্যি কথা বলতে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর সাবজেক্টটা এমনই যে তার একটা নিজস্ব দর্শক আছে। সেই দর্শক এই সিরিয়ালটাই দেখবে।”
আরও পড়ুন-‘হীরকের রাজা, এ ভাবে পাঠশালা বন্ধ করতে পারবে না’, জেএনইউ কাণ্ডে সরব মিমি-পরম-আবিরেরা
একই সময়ে দুই আলাদা চ্যানেলে চলে এই দুই ধারাবাহিক।‘কি করে বলবো তোমায়’ জি বাংলার সঙ্গে স্বস্তিকার প্রথম প্রজেক্ট। ১৬ ডিসেম্বর থেকে সিরিয়ালটা শুরু হয়েছে। স্বস্তিকা বললেন, “আমাদের সিরিয়ালের টেলিকাস্টের সময়টা এত সুন্দর যে স্কুল গোয়িং, নিউলি ম্যারেড বা যাঁরা ঘরেই থাকেন... প্রত্যেকেই রাত দশটায় কিছুটা অবসর পান। সিরিয়ালটা শীতকালে শুরু হয়েছে। ফলত এরকম একটা লাভ স্টোরি দেখে প্রত্যেকেই উষ্ণতা পাবে, ভালবাসার উষ্ণতা। হা হা হা...”
‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকের বামাক্ষ্যাপা সব্যসাচী চৌধুরীর
অদূর ভবিষ্যতে কে তাহলে স্লট লিডার হতে যাচ্ছে? ‘কি করে বলবো তোমায়’ ধারাবাহিকের পরিচালক অয়ন সেনগুপ্ত’র প্রার্থনা, “আমি তারা মায়ের কাছে এটাই প্রার্থনা করব যেন ভালবাসার জয় ঘটিয়ে দেয়।”
অর্থাৎ তিনি চাইছেন তাঁদের ধারাবাহিক হোক স্লট লিডার। রেটিং তুলনা করলে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর থেকে খুব পিছিয়ে নেই ধারাবাহিকটি। সব্যসাচী বললেন, “সেভাবে দেখতে গেলে নেক টু নেক আছি। কিন্তু দুই চ্যানেলের জিআরপি এবং দুই সিরিয়ালের জঁনর বিচার করলে কম্পিটিশনের সেরকম কোনও জায়গা নেই।”
স্বস্তিকা যোগ করলেন, “সব্যসাচী যেটা করছে... মানে... হি ইজ লাইক ট্রিমেন্ডাজ ইন হিজ ওয়ার্ক। হি ইজ সো গুড! আমাদের সিরিয়ালটা ডিফারেন্ট কাইন্ড অব লাভ স্টোরি। আমরা ‘বোঝে না সে বোঝে না’ দেখেছি, আরও অনেক লাভ স্টোরি দেখেছি। কিন্তু অনেক বছর পরে এরকমএকটা লাভ স্টোরি জি বাংলায় চলছে। এটা দর্শকের পছন্দের বিষয় হতেই পারে।”
‘কি করে বলবো তোমায়’ ধারাবাহিকের নায়িকা রাধিকার চরিত্রে আছেন স্বস্তিকা দত্ত
সব্যসাচী যোগ কলেন, “ড্রয়িং রুম ড্রামার অডিয়েন্স তো আছেই। আবার মাইথোলজিক্যাল বা ফ্যান্টাসি বেসড গল্পেরও অডিয়েন্স রয়েছে। আমাদের গল্পটা পুরোপুরি মাইথোলজি নয়। রিয়েল লাইফ ঘটনাও দেখানো হয়। বামাখ্যাপা রক্তমাংসের মানুষ। আবার কিছুটা ফ্যান্টাসিও গল্পের খাতিরে আছে। ফলে দুটো সিরিয়ালের গল্প ও দর্শক আলাদা।”
স্বস্তিকার সঙ্গে কথা হয়? সব্যসাচী জানালেন, “খুব কম। তবে একই টাইম স্লটে আমাদের ধারাবাহিক চলছে... সেটা নিয়ে হাসিঠাট্টা হয়।”
রানি অন্নদার সন্তান না থাকায় তারাপীঠ মন্দির কার অধীনে যাবে, বড় কুমারের কাছে থাকবে নাকি ছোট রানিমার কাছে যাবে? এই নিয়ে চলছে গল্পের পাকদণ্ডী। বামা কী ভাবে সমাধান করবে এই জট, তা নিয়েই এগিয়ে চলেছে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’।
‘কি করে বলবো তোমায়’ ধারাবাহিকে কৌশিকের সঙ্গেবিয়ে হওয়ার কথা ছিলরাধিকার। কিন্তু তার গালফ্রেন্ড ফিরে আসায় রাধিকাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করে সে। রাধিকা প্রায় মৃত্যু ছুঁয়ে বেঁচে ফেরে।তাকে বাঁচায় কর্ণ।এই গল্পের ওপর ভিত্তি করেই ধারাবাহিকটির টিআরপি এসেছে। আর এখন কাজের সূত্রে রাধিকা ও কর্ণ পরস্পরের কাছাকাছি আসছে। রোম্যান্স কী ভাবে এগিয়ে যাবে ধারাবাহিকের গল্প সে দিকেই গড়াচ্ছে এবার।