যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বন্ধু শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
যিশু-নীলাঞ্জনা যে বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন, তা অনুরাগীদের কল্পনাতীত। ভাবেননি তাঁদের সহকর্মীরাও। তাই দাম্পত্য ভেঙে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিস্মিত সকলে। তার পর থেকেই ‘প্রাক্তন’ জুটির শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁদের বিচ্ছেদ আটকানোর নানা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে সেনগুপ্ত পরিবারের অন্দরের সমীকরণ নিয়ে কুলুপ এঁটেছেন দু’পক্ষই।
টলিপাড়ায় যিশুর সঙ্গে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধুত্ব কারও অজানা নয়। বন্ধুর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতিতে কোনও পদক্ষেপ করেছেন তিনি? প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। কিন্তু শাশ্বত কখনও মুখ খোলেননি এই বিষয়ে। প্রিয় বন্ধুর বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কেন কোনও মন্তব্য করেননি? সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে তিনি জানালেন, স্ত্রীর কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন। অভিনেতার কথায়, “কী মন্তব্য করব? আমি তো কিছু জানতামই না। আমার স্ত্রীর থেকে ঘটনার কথা প্রথম জানতে পারি।” তিনি আরও যোগ করেন, “আসলে আমাদের পুরুষদের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা হয় না খুব একটা। ওঁর বৌ কী করলেন, এঁর বৌ কী করলেন, সেই তথ্য থাকে না আমাদের কাছে।”
শাশ্বতের স্ত্রী মহুয়ার সঙ্গে নীলাঞ্জনার গভীর বন্ধুত্ব। প্রায়শই একসঙ্গে তাঁরা আনন্দ, গল্পে মেতে ওঠেন। সেই মুহূর্তের ছবিও রয়েছে তাঁদের প্রোফাইলে। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে নীলাঞ্জনার ছবি পোস্ট করে মহুয়া লেখেন, ‘‘আমার চেনা অন্যতম শক্তিশালী ও দারুণ মহিলার জন্য। তোমার জন্য ভীষণ ভীষণ গর্বিত। সব সময় তোমার পাশে আছি।” এই পোস্টটি নিজের স্টোরিতে ভাগ করে নিয়ে পাল্টা ভালবাসা জানিয়েছিলেন নীলাঞ্জনাও।
জানা গিয়েছে, যিশু-নীলাঞ্জনার সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি রয়েছে। মুম্বই গিয়েই নাকি শিনাল সুর্তির সঙ্গে যিশুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি অভিনেতার আপ্তসহায়ক। যার ফলেই নাকি ছাদ আলাদা হয়েছে যিশু-নীলাঞ্জনার। দুই মেয়ে রয়েছে মায়ের সঙ্গে।
এই পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনা একাই যে সব দিক সামলাচ্ছেন তা আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে প্রাথমিক ভাবে প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকলেও সম্প্রতি প্রকাশ্যে ধরা দিয়েছেন যিশু। তাঁর অভিনীত আসন্ন ছবি ‘খাদান’-এর প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে অভিনেতার দেখা মিলেছে।