কিয়ারা-আমির অভিনীত টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ঘিরে বিতর্কের ঝড় চলেছিল সমাজমাধ্যমে।
আমির খান এবং কিয়ারা আডবাণী অভিনীত ব্যাঙ্কিং সংস্থার বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে দেওয়া হল সমাজমাধ্যম থেকে। হিন্দুধর্মের অনুভূতির মূলে আঘাত হেনেছে এই বিজ্ঞাপন, এমনই অভিযোগ। তার ফলশ্রুতিতেই এইউ স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক তাদের বিজ্ঞাপনী ভিডিয়োটি উঠিয়ে নিল। অনেকেরই মন্তব্য, জনরোষের মুখে পিছু হটল স্বাধীন চিন্তার প্রদর্শন, দিন বদলের স্বপ্ন।
সপ্তাহের শুরুর ঘটনা। কিয়ারা-আমির অভিনীত টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ঘিরে বিতর্কের ঝড় চলেছিল সমাজমাধ্যমে। ব্যাঙ্কিং সংস্থার বিজ্ঞাপনে হিন্দু রীতিনীতি, সংস্কার নিয়ে কেন কথা হবে, প্রশ্ন তুলেছিলেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। কটাক্ষের তির এসে পড়েছিল আমির এবং কিয়ারার গায়েও। যাঁরা প্রথম বার একসঙ্গে কাজ করলেন কোনও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে। কী ছিল ভিডিয়োয়? দেখা যায়, আমিরকে বিয়ে করে আনছেন কিয়ারা। গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছেন নিজের বাড়িতে। আমির বলছেন, “এই প্রথম এমন হচ্ছে। বিয়ের পর নতুন ঘরে যাওয়ার সময় নতুন বউ কান্নাকাটি করছে না।” কিয়ারা বলছেন, “তুমিও তো ঘর ছাড়লে, কাঁদছ কি?” পরের দৃশ্যে আমির-কিয়ারা ঢুকছেন নতুন মহলে। সবাই বরণ করতে প্রস্তুত। আমির জিজ্ঞেস করলেন, “কে প্রথম পা রাখবে? তুমি?” কিয়ারার সপ্রতিভ জবাব, “এ বাড়িতে নতুন কে? তুমি না? তা হলে তুমিই পা রাখো!” ঢুকলেন আমির। পিছনে কিয়ারা। শুধু তা-ই নয়, দেখা গিয়েছিল, কিয়ারার বাবা অসুস্থ। তাঁর দেখভাল করবেন বাড়িতে প্রথম পা রাখা জামাই-ই। হিন্দু বিয়ের এমন রীতিবদল দেখিয়ে উপসংহারে পৌঁছে যায় বিজ্ঞাপন। ওই ব্যাঙ্কিং সংস্থার দাবি ছিল, বদল এনে দিতে চান।
সেই ভিডিয়োকে নিশানা করেই টুইটে সরব হয়েছিলেন অনেকে। বিবেক লিখেছিলেন, “আমি একেবারেই বুঝতে পারছি না, দু’টি বিষয় কী ভাবে প্রাসঙ্গিক! সমাজ, ধর্ম এবং সংস্কার নিয়ে চিন্তাভাবনা করার দায়িত্ব ব্যাঙ্ক কবে নিল?”
আরও লেখেন, “এই সব বোকাবোকা কাজ করবে আর তার পর চিৎকার করবে হিন্দুরা ট্রোল করছে!”
যত সময় এগিয়েছে, নির্মম কাটাছেঁড়া চলেছে বিজ্ঞাপনটি নিয়ে। নেটিজেনদের প্রশ্ন, কেন হিন্দু রীতিনীতিকে বিজ্ঞাপনী ছবির বিষয় করা হবে? সেই ব্যাঙ্কিং সংস্থাকে বয়কটের ডাকও শোনা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। অতএব, জটিলতা না বাড়িয়ে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেওয়াই ‘বুদ্ধিমানের কাজ’, সেই অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।