পরীমণি। —ফাইল চিত্র।
স্যালাইন চলছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ছবি পোস্ট করে পরীমণি লিখেছিলেন, “আমরা পরীতমা।” একই সঙ্গে অভিনেত্রী তমা মির্জাকে ফেসবুকে সম্বোধনও করেছিলেন। নায়িকার ওই পোস্টে তমা উত্তরে লিখেছিলেন, “তোমরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো।” তখন অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারেননি। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে ধোঁয়াশা কাটছে। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন ছেলে রাজ্যকে নিয়ে আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পরী। শোনা গিয়েছিল ধুম জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু বিষয়টা কিন্তু মোটেই তা নয়। সূত্র বলছে অন্য কথা। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘যুগান্তর’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসলে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তমা। আর পরীকে নাকি ভর্তি করানো হয়েছে অন্য কারণে। তিনি নাকি নিজের হাত কেটে ফেলেছিলেন।
শুক্রবার মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে পরীমণি, শরিফুল এবং তাঁদের ছেলে রাজ্যের ছবি। শুধু তাই নয়, তার আগে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে শরিফুল জানিয়েছিলেন যে তিনি আর কোনও ঝামেলা চান না। সব সমস্যা মিটিয়ে ভাল থাকতে চান। তার পরেই একসঙ্গে দম্পতিকে দেখে অনেকের মনে হয়েছিল তা হলে সত্যিই কাছাকাছি এসেছেন দু’জনে। রাজ্যের জন্মদিন পালন করতে ও পার বাংলার প্রযোজক কৌশিক হোসেন তাপসের অফিসে তাঁরা কেকও কেটেছিলেন। ‘যুগান্তর’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই প্রযোজকের অফিসেই নাকি হাতাহাতি এবং বচসায় জড়িয়েছিলেন পরীমণি এবং শরিফুল। হাসপাতালের একাধিক সূত্র নাকি নিশ্চিত করেছে নায়িকা হাত কেটে হাসপাতালে ভর্তি হন। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেরই অনুমান তবে কি অভিনেত্রী আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন? তবে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর নায়িকাকে নাকি ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে ওই একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল রাজকে। তাঁরা মাথায় নাকি চারটি সেলাই পড়েছে। সূত্রের খবর, নায়ককেও নাকি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নায়ক বা নায়িকার পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।