শরিফুল রাজ। —ফাইল চিত্র।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছে বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমণি এবং শরিফুল রাজের নাম। শনিবার রাতে রক্তারক্তি কাণ্ড। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে অভিনেতাকে। অন্য দিকে জ্বর গায়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অভিনেত্রী পরীমণিও। প্রায় চার মাস ধরে আলাদা রয়েছেন তাঁরা। আচমকাই বৃহস্পতিবার একসঙ্গে দেখা যায় তাঁদের। ও পার বাংলারই এক প্রযোজকের অফিসে। সেখানে তাঁরা দু’জনে আবার ছেলে রাজ্যর জন্মদিন উপলক্ষে কেকও কাটেন। যদিও তার আগেই ঢাকার এক বিলাসবহুল হোটেলে ধুমধাম করে ছেলের জন্মদিন পালন করেছিলেন পরী। সেখানে দেখা যায়নি রাজকে। কিন্তু তার পর আরও এক বার তাঁদের একসঙ্গে দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন সব দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফের কাছাকাছি এসেছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, কোনও সমস্যাই মেটেনি। অন্য দিকে সকলেরই প্রশ্ন, রাজের এই অবস্থা হল কী করে?
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় রাজের কলকাতার সহকারীর সঙ্গে। তিনি সন্দিহান। কলকাতায় এসেই চুরি হয়ে গিয়েছিল নায়কের ফোন। তার পর থেকে রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা তাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে গিয়েছে। শনিবার রাতে তিনি কিছু জানতে না পারলেও, রবিবার সকালে তিনি জানিয়েছেন, দু’দিন আগে রাতে নায়িকার বাড়িতেই গিয়েছিলেন রাজ। কিন্তু রাতেই বেরিয়ে এসেছিলেন। সেখানে পরীর সঙ্গে কিছু হয়েছে কি না বলতে পারছেন না তিনি। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত খবর এসেছে, রাস্তায় সম্ভবত কোনও দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন শরিফুল। তার জেরেই অভিনেতা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও তাঁর কলকাতার সহকারী এ বিষয়ে নিশ্চিত নন।
এ দিকে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নায়িকা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “মার্ক করে রাখতে ভাল লাগছে।” তাঁর এই পোস্ট ঘিরেও উঠেছে প্রচুর প্রশ্ন। কেন আচমকা এমন লিখলেন তিনি? তবে শোনা যাচ্ছে, নায়িকা নাকি এখনও কথা বলার অবস্থায় নেই। অন্য দিকে শরিফুলেরও আর কোনও খবর পাওয়া যায়নি।