(বাঁ দিকে) পরীমণি। শরিফুল রাজ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের নায়িকা পরীমণি ও তাঁর স্বামী শরিফুল রাজ। তাঁদের জীবন যেন হার মানায় সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। প্রতি ক্ষণেই ঘটনার ঘনঘটা। এই যেন সব ভাল পর মুহূর্তেই, সব কিছু অন্ধকার! ঠিক যেমনটা হল দিন কয়েক আগে। মাস তিনেক হল স্বামীকে ছাড়াই থাকছিলেন পরীমণি। সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রী জানান, তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে। গত ১০ অগস্ট ধুমধাম করেই উদ্যাপন হল ছেলে রাজ্যের জন্মদিন। সে দিনও রাজ অনুপস্থিত। তবে তার এক দিন কাটতে না কাটতেই স্বামীকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা যায় পরীমণিকে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে শরিফুল রাজ জানান, তিনি আর কোনও ঝামেলা চান না। সব সমস্যা মিটিয়ে ভাল থাকতে চান। তার পরেই একসঙ্গে দম্পতিকে দেখে অনেকের মনে হয়েছিল, তা হলে সত্যিই কাছাকাছি এসেছেন দু’জনে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই পুরো ভোলবদল। মাথায় ফাটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রাজও। আবার ওই একই দিতে হাসপাতালে ভর্তি হন পরীমণিও। প্রথমে রটে যায়, স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা থেকে তা হাতাহাতির পর্যায় পৌঁছয়। চোট লাগে নায়িকার, আহত হন রাজও। তবে সত্য কী, সেই ধোঁয়াসা কাটছিল না। অবশেষে মুখ খুললেন শরিফুল রাজ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘যুগান্তর’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই মুহূর্তে ভাল আছেন, সুস্থ আছেন রাজ। ১৭ অগস্ট সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অভিনেতা বলেন, ‘‘তেজগাঁও এলাকা দিয়ে আমি গাড়ি করে যাচ্ছিলাম। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। সামনে দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায়। এখন ভাল আছি। প্রথম দিকে ভেবেছিলাম, ভিতরে রক্তক্ষরণ হয়তো হয়েছে। তবে তা হয়নি। টিস্যুগুলো আঘাত পেয়েছে। আরও একটু বিশ্রামে থাকলে ঠিক হয়ে যাবে। গাড়িতে ধাক্কা লাগে তখন আমার গাড়ির গ্লাস এসে মাথায় লাগে। এতেই জখম হয়েছি।’’
এই ঘটনার পর স্ত্রী পরীমণিরও খোঁজ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন নায়ক। পাশপাশি এ-ও স্পষ্ট করেন, তাঁদের মধ্যে কোনও দাম্পত্য কলহের ঘটনাই ঘটেনি, পুরোটাই নাকি গুজব।