তাঁর বন্ধু, সহকর্মী, কেকে-র প্রিয় গান ‘আঁখো মে তেরি আজব সি আজব সি আদায়ে হ্যায়’ গেয়েই অনুষ্ঠান শুরু করবেন বাবুল।
কয়েক দিন পরেই সেই নজরুল মঞ্চেই ‘পাওয়ার প্যাক’ অনুষ্ঠান করতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়। ওজন বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই থাকবে তাঁর বন্ধু, সহকর্মী, কেকে-র প্রিয় গান ‘আঁখো মে তেরি আজব সি আজব সি আদায়ে হ্যায়’ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন সেই অভিজ্ঞতার কথা।
প্রশ্ন: নজরুল মঞ্চে কেকে-র ঘটনার পর সেই নজরুল মঞ্চে আপনার এই অনুষ্ঠান নিয়ে আলাদা কোনও চিন্তাভাবনা আছে?
বাবুল: আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে আমি একটানা দেড় ঘণ্টা শো করতাম। এখন বয়স বেড়ে গিয়েছে। শো করার সময় কিন্তু কমেনি। দর্শকও আমাদের কাছে এটা আশা করে। তাই চেষ্টা করি ফিটনেস ধরে রাখার।
প্রশ্ন: কী ভাবে?
বাবুল: আমি ওজন নিয়ে চিন্তায থাকি। তাই সাবধানে থাকার চেষ্টা করি। আগে ফুটবল খেলতাম। এখনও খেলি। সপ্তাহে দু’দিন জিম করি। যে দিন আমার শো থাকে আমি হাল্কা খাবার খাই। এটা বহু দিন থেকে মেনে আসছি। তিন মাস অন্তর শারীরিক পরীক্ষা করাই।
প্রশ্ন: কেকে-র দুর্ঘটনার পরে অনুষ্ঠানের দিন বিশেষ কোনও ব্যবস্থা থাকছে?
বাবুল: না না, সেরকম কিছুই থাকছে না। না উদ্যোক্তাদের কাছে কোনও আলাদা দাবি আমার নেই। ব্যক্তিগত চিকিৎসক রাখতে হলে সেটা আমিই নিয়ে যাব।
প্রশ্ন: নজরুল মঞ্চেই কেকে তাঁর জীবের শেষ অনুষ্ঠান করেছেন সেই মঞ্চে অনুষ্ঠানের সময় বাড়তি কোনও মানসিক চাপ থাকবে?
বাবুল: কেকে আমার বন্ধু। আমরা একসঙ্গে কাজ শুরু করি। অনেক মঞ্চে একসঙ্গে আমরা অনুষ্ঠান করেছি। মঞ্চে পা রাখলেই ওর কথা মনে পড়বে। কষ্ট হবে। বিষণ্ণ হব…আমরা যারা মঞ্চে গান গাই, তাদের সকলকেই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। লাফাতে হয়। তাই শরীরের সুস্থতা নিয়ে আগে ভাবা উচিত।
প্রশ্ন: কেকে-র কোনও গান থাকবে আপনার গানের তালিকায়?
বাবুল: আমার ইচ্ছে আছে ওর ‘আঁখো মে তেরি’ গানটা দিয়েই অনুষ্ঠান শুরু করব। ওটা আমার খুব পছন্দের গান।
বাবুল সুপ্রিয়।
প্রশ্ন: নতুন গায়ক আসা, গানের সুযোগ কমে যাওয়া একজন শিল্পীর কাছে কতটা চাপের?
বাবুল: এখন আমাদের খুব কম বয়সেই অবসর নিতে হয়। শান মজা করে এই কথাটা বারবার বলে। আগে শিল্পীরা পঞ্চাশের পরেও সুপারহিট গান দিত, তখন অবসর বলে কিছু ছিল না। এখন যুগটাই বদলে গিয়েছে। সফটওয়্যারে গান গাইছে। সে সব গান হিটও হচ্ছে। এটা নিয়ে চাপ নেওয়া ঠিক নয়। ম্যাচিওর হতে হবে। আফসোস করে, মনের চাপ বাড়িয়ে লাভ নেই।
প্রশ্ন: নতুন শিল্পীকে জায়গা ছেড়ে দিতে আপনার কোনও মানসিক চাপ হবে না বলছেন?
বাবুল: আমি সঙ্গীত পরিচালনা করলে অরিজিৎ সিংহকে দিয়েই গাওয়াব। রাজা চন্দর ছবিতে আমি একটা গানের সঙ্গীত পরিচালনা করছি। আমি চেষ্টা করেছিলাম অরিজিৎকে দিয়ে গাওয়াতে, কিন্তু অরিজিৎ বহুদিন দেশের বাইরে, বাধ্য হয়ে গানটা আমাকেই গাইতে হল।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।