অয়ন্যা চট্টোপাধ্যায় এখন ‘বোধিসত্ত্বর বোধবুদ্ধি’-তে বোধির বান্ধবী সৃজিতা!
দেখতে শান্ত। কাজে দুর্দান্ত! চুপচাপ একের পর এক বোমা ফাটিয়ে চলেছে অয়ন্যা চট্টোপাধ্যায়। পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের ছবি ‘মিনি’-তে মিমি চক্রবর্তীর বোনঝি হয়ে দর্শক-মনে ভাল সাড়া ফেলেছিল অয়ন্যা । ছবির রেশ ধীরে ধীরে ফিকে। কোথায় গেল অয়ন্যা? এই প্রশ্ন নিয়েই আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল কিশোরীর সঙ্গে।
অয়ন্যা স্কুলে। তার হয়ে কথা বলেছেন তার মা প্রান্তিকা চট্টোপাধ্যায়। মায়ের কথায়, ‘‘করিশ্মা কপূর অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘ব্রাউন’-এ অভিনয় করেছে অয়ন্যা। চরিত্রের নাম অহনা। এই অহনাই বড় হয়ে পরে খুন হবে। তার ছোটবেলা হিসেবে পর্দায় উপস্থিত অয়ন্যা।’’ এখন সে জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘বোধিসত্ত্বর বোধবুদ্ধি’-তে বোধির বান্ধবী সৃজিতা!
বড়পর্দা থেকে হঠাৎ ছোটপর্দায় কেন? শিশুশিল্পীর মায়ের মতে, অয়ন্যা অভিনয় শুরুই করেছে ছোটপর্দা দিয়ে। জি বাংলার ‘রাণী রাসমণি’ তার প্রথম ধারাবাহিক। ওই ধারাবাহিকে সে শিশু সারদার ভূমিকায় অভিনয় করেছিল। প্রথম কাজেই তার মিষ্টি, ঢলঢলে মুখ, অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছিল দর্শকদের। তার পরেই এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার নজরে পড়ে যায় অয়ন্যা। মাঝে সিরিজের কাজ। তার পরেই ফের ডাক ছোটপর্দায়। বোধির মতোই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র তারও। সেখানে জমিয়ে অভিনয় করছে সে।
একের পর এক কাজে অয়ন্যা খুব খুশি। কিন্তু মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রান্তিকা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ছোটপর্দায় কাজ মানেই প্রচুর ব্যস্ততা। যদিও রোজ শ্যুটে যেতে হয় না। কিন্তু স্কুল, স্টুডিয়ো মিলিয়ে মেয়ের উপরে বেশ চাপ পড়ে যাচ্ছে।’’ তাই এই ধারাবাহিকের পর আগামী দিনে ছোটপর্দায় আর অয়ন্যাকে দেখা না-ও যেতে পারে, এমনই জানিয়েছেন তাঁর মা। যুক্তি, বড়পর্দায় নির্দিষ্ট দিনে কাজ শেষ। অয়ন্যারও পড়াশোনায় সমস্যা হয় না। ছোটপর্দায় কাজ করলে সেটা হচ্ছে। তার পরেই হাসতে হাসতে রসিকতা, ‘‘মিমি চক্রবর্তী, করিশ্মা কপূরের সঙ্গে কাজের পরে চাইব, মেয়ে বড়পর্দা বা সিরিজেই অভিনয় করুক। যতই হোক, অয়ন্যাও তো এখন টুইঙ্কল টুইঙ্কল লিটল স্টার!’’